আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, নজরপুর ইউপি পরিষদের সাবেক মেম্বার, ও মতিউল্লাহ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রাজা মিয়া জনি'র হত্যাকান্ডের বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে নিহত রাজা মিয়ার জনি'র পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সংবাদ সন্মেলনে নিহতের স্ত্রী হাশুরা বেগম তার স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। ১৪ জুলাই বুধবার সকালে ১১টায় নবীপুর গ্রামে নিহত রাজা মিয়ার নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে হাসুরা বেগম বলেন, সন্মানিত উপস্থিত সাংবাদিক ভাইয়ের। আসসালামু আলাইকুম। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আমার স্বামী রাজা মিয়া জনি নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার, মতিউল্লাহ ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। গত ২৮ আগষ্ট নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শোক সভায় আমার স্বামী আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে এবং সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম হিরু'র আহবানে বিকালে নবীপুর গ্রাম থেকে প্রায় ৫/৬ শত লোকজন নিয়ে শোক সভায় উপস্থিত হয়। শোক সভা শেষ করে আমার স্বামী রাজা মিয়া জনি বাড়ী ফেরার পথে নবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর প্বার্শের রাস্তায় আগে থেকে উৎত পেতে থাকা আদু গং'রা আমার স্বামী রাজা মিয়া জনিকে সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ দুই বছর হতে চলেছে আলোচিত রাজা মিয়া জনি হত্যার বিচার পাইনি। ১৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করি। তৎকালিন ডিবির তদন্ত অফিসার মোস্তাক টাকার বিনিময়ে ৮ জন আসামীকে হত্যা মামলার চার্জশীট থেকে অব্যাহতি দেয়। আমরা উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে নারাজি পিটিশন দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মা। তিনি তার বাবার হত্যার বিচার করে আসামীদের ফাঁসি দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার স্বামী রাজা মিয়া জনি'র হত্যার বিচার বা ফাঁসি চাই। খুনিরা যাতে ১০০ বছরেও নজরপুর ইউনিয়নে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি। খুনিরা নতুন করে আবার একত্রিত হয়ে নতুন করে বিএনপির সাথে আতাঁত করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা এবার আমাকে, আমার পরিবার ও আমার পিতৃহারা সন্তানদেরকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আসামীরা কারগার থেকে জামিনে বের হয়ে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করছে এবং প্রতিনিয়ত মোবাইলে হুমকি- ধমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি এখন আমার পরিবার/ পরিজন ও পিতৃহারা সন্তানাদী নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আমার পরিবার/পরিজনের ও পিতৃহারা সন্তানদের নিরাপত্তার মাধ্যমে প্রান ভিক্ষা চাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত হত্যা মামলার বাদী শাহিন ব্যাপারী, নজরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি বোরহান ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন, নিহতের ছোট ভাই জামাল মিয়া, নিহতের দুই মেয়ে রুবিনা আক্তার ও চাঁদনী আক্তার এবং ছোট ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ও ইসমাইল কাজীসহ প্রমূখ। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।