আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দী গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রায় ২০টি বসতঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আফসানা (১৬) নামে এক তরুণীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২৭ জুন) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় উপজেলার কাচারিকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বর্তমান ইউপি সদস্য শাহ-আলম মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য মৃত ফজলু মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জেরে রোববার রাতে শাহ-আলম মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনার পরই ওই রাতে এক তরুণীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শাহ-আলম মেম্বারের কাকা ও রুপ মিয়ার ভাই শাজাহানের ভবনসহ প্রায় ২০টি আধাপাকা বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। ভুক্তভোগীরা জানায়, বাড়িঘর যাতে ভাঙচুর না করে সেজন্য প্রতি ঘর থেকে ৪লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার আব্দুল ওয়াহাব ও শাহআলম মেম্বার এবং রউফ মিয়ার বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়।
অপরদিকে ওই ঘটনার পর রাতেই আফসানা আক্তার (১৬) নামে এক তরুনীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত আফসানা একই গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে ও শাহালম মেম্বারের সমর্থক।
নিহতের মা আবেদা খাতুন জানান, রোববার রাত দুইটার দিকে ৪/৫ জন লোক আমার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে মেয়ের লাশ জমিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বাশঁগাড়ী পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল এসে আফসানা নামে একটি মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফজলু মেম্বারের সমর্থক বলার বাড়ির মফিজ উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে তারা আমার ভাইসহ আরো একজনকে হত্যা করেছে। এখন তারাই আবার আমাদের ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই ওই মেয়েকে হত্যা করেছে। গতকাল রাতের ঘটনার সাথে আমরা কোনভাবেই জড়িত নই।
অন্যদিকে খাদ্দার বাড়ির ভুক্তভোগী রজব আলীর স্ত্রীর অভিযোগ, গত রাতের সহিংসতার ঘটনার সময় ১০০ গজ দূরে অবস্থিত পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে সহায়তা চাইলে তারা কোনপ্রকার সহায়তা পায়নি।
Leave a Reply