আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবৎজীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে আরো ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। অনাদায়ে আরো ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এ আদেশ প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। সে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিন পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানাযায়,প্রায় ২০ বছর পূর্বে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিন পাড়া এলাকার বাসিন্দা নিহত মোফাজ্জল হোসেনের সাথে অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্ব জীবনে তাদের ১৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম আধুরী ফ্যাক্টরীতে চাবুরী করতো। চাকুরির বিষয়টা ঝুনুর স্বামী মোফাজ্জল পছন্দ করতো না। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে ২০২২ সালের ২১ জুলাই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় ঝুনু বেগম শাবল দিয়ে স্বামী মোফাজ্জলের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের ভাই আলী হোসেন বাদি হয়ে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে ঝুনু বেগম হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে আদালত ১০ মাস ১৪ দিনের মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমান শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় প্রদান করেন। বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড.খন্দকার হালিম ও আসামী পক্ষের আইজীবি ছিলেন আরিফুল ইসলাম। নিহত মোফাজ্জল হোসেনের ভাই ও মামলার বাদিআলী হোসেন বলেন,আমার এই রায়ে পুরো পুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ঝুনু বেগমের ফাঁসি হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবী এই ধরনের অপরাধ ও খুন খারাবি বন্ধে ঝুনু বেগমের ফাঁসি দেয়া হোক। যাতে করে আর কেউ যাতে খুনের শিকার না হয়। বাদিপক্ষের আইনজীবী এড.খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ১০ মাসে নৃসংশ এই হত্যাকান্ডের বিচার কার্য শেষ হয়েছে। ১৪ জনের সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক অভিযুক্ত ঝুনু বেগমকে যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।