আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
জাতীয় পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও শেখ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জন্মবার্ষিকী এবং ১৫ আগস্টে সকল শহীদদের স্মরণে নরসিংদী শহর কৃষকলীগের উদ্যােগে আলোচনা সভা, গনভোজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল মতিন ভূঁইয়া, সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী শহর কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া ইকবাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শহর কৃষক লীগের সদস্য সচিব কাজী ওমর ফারুক লোকমান।
উক্ত আলোচনা সভা বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি জি এম তালেব হোসেন, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন বাচ্চু, নরসিংদী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ নজরুল ইসলাম রিপন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুর উদ্দিন মোল্লা,নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দিপু মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন সাহা,নরসিংদী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফাতেমা সরকার সুমি, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন সুলতানা, নরসিংদী জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, জেলা কৃষক লীগের সহ- সভাপতি মনির হোসেন খন্দকার,জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি শাহীন ভূইঁয়া, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন,জেলা কৃষক লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল উদ্দিন, জেলা কৃষক লীগের মৎস্য ও প্রাণি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া, নরসিংদী সদর থানা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম মিয়া, জেলা কৃষকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সদস্য মোঃ জব্বার মিয়া, সদর থানা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শরিফ মিয়া,সদর থানা কৃষক লীগের সদস্য আতাউর রহমান বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন মিয়া, শহর কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মাসুম ভূঁইয়া টুটুল,যুগ্ন আহবায়ক খোরশেদ আলম জাহাঙ্গীর, যুগ্ন-আহবায়ক জনি আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাফায়েত ভূঁইয়া,শহর কৃষক লীগের সদস্য ওমর আহমেদ তুশার, সদস্য মাখন মিয়া,৫ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের আহ্বায়ক রুবেল মিয়া, সদস্য সচিব সাজন ভূঁইয়া সহ কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত নেতাকর্মী তাদের বক্তব্যে বলেন, আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট। ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ তাদের সহপরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেন কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যরা। তারা আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা দেশের বাহিরে খাকায় খুনিদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান।৷ তার ভেবে ছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে শেখ পরিবারের নাম মুছে দিতে, কিন্তু তারা যানে না এক মুজিব লোকান্তরে, লক্ষ মুজিব ঘরে ঘরে। আজ এই শোক দিবস আমাদের শক্তিতে৷ পরিনত হয়ে ইনশাআল্লাহ।
বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝে দেশের টানে ও নেতাকর্মীদের অনুরোধে দীর্ঘ ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন । ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মাধ্যমে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি ঘোষনা দেওয়া হয় । এই পরিক্রমায় বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে, রাজপথে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে । বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে, গণতন্ত্র রক্ষা তথা জনগনের অধিকার নিশ্চিতে এবং সময়ের পরিক্রমায় ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ ও ২০০৯ থেকে আজ অবধী দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । তাঁর নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে ক্ষুধা মুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে ।দেশ ও জাতি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে । সেই সাথে বিদেশে ও সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে ।
সবশেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মাধ্যমে আগত মানুষের মাঝে খাবার তুলে দেওয়া হয়।তাছাড়া নরসিংদী শহর কৃষক লীগের আয়োজনে নরসিংদীর প্রতিটি মোড়ে তাবারক বিতারণ করা হয়েছে।
Leave a Reply