নরসিংদীরতে মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহে চোখ জুড়াতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা ঃ
আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধিঃ
সুন্দর সৌন্দর্য নজরকাড়ে ফুল প্রেমিক ও জনসাধারণের তাঁর সাথে সৌন্দর্য বারে কৃষি মাঠের। বলছি সূর্যমুখীর কথা। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহে চোখ জুড়াতে আসছেন দর্শনার্থীরা। আর এ দৃশ্যের দেখা মিলছে নরসিংদী সদর উপজেলা কামারগাঁও গ্রামে বিভিন্ন এলাকায়। যেখানে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ। কম সময় আর স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় চাষীরাও বেশ খুশি। ফুল প্রেমিকদের ধারনা এই ফুল সকলে সূর্যের দিকে তাক করে থাকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। সূর্যমুখী নজরকাড়া সৌন্দর্য পুলকিত করে যে কাউকেই। সেই সাথে তৈল হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে,
সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তৈল বেশি পুষ্টিগুনসম্পন্ন।
আর্থিক ভাবে লাভজনক হওয়ায় এ ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এ কারণে নরসিংদীতে এই সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে । নরসিংদীতে ২০-৩০ জন চাষী এ ফুল চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
চাষীরা বলেন, সূর্যমূখী চাষে এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ৮-১০ হাজার টাকা। সামান্য রাসায়নিক সার আর দুইবার সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৮০ থেকে ৯৫ দিনের মধ্যে তোলা যায়। প্রতি এক বিঘা জমি থেকে উৎপাদিত বীজ থেকে আয় হবে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহার করা যয়। অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম, সে কারণে লাভ বেশি হওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ করছি। আগামীতে চাষের আগ্রহওপ্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
সূর্যমূখী পার্কে ঘুরতে এসে এক দর্শনাথী জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমুখী চাষ বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ফুলেই পাওয়া যায় বীজ। আর সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের মধ্যে কেউবা সেলফি, কেউবা স্বজন নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সের নারী পুরুষ। সরকারি কর্মকর্তারাও পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ছুটে আসছেন।কোলেস্টরেলমুক্ত সূর্যমুখীর তৈলে রয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ। ফলে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে সুর্যমুখীর।