নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদ্রাসার হুজুরের বিরুদ্ধে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ
সাজিদুল করিম
নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদ্রাসা পড়ুয়া ১১ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার তালশো আল জামিয়া হুসানিয়া মাদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া ও ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিমের বাবা জানান, উক্ত মাদ্রাসায় ৭ বছর যাবৎ আমার ছেলে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখা-পড়া করে আসছে। সে এখন ৪ পারা কোরানের হাফেজ। মহামারি করোনার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় ছেলে বাড়িতেই থাকে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুজুর আব্দুর রহিম আমার বাড়িতে এসে বলে মাদ্রাসা থেকে কাগজ পত্রাদি নিতে হবে এজন্য এসেছি। তখন আমার ছেলেকে বলে আমার সাথে মাদ্রাসায় যেতে হবে বলে মোটরসাইকেলে করে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে রাতে ৮ টার দিকে ছেলে বাসায় ফিরে কান্না জড়িত কন্ঠে বলৎকারের ঘটনা খুলে বলে। জিঙ্গাসার এক পর্যায়ে হুজুর আব্দুর রহিমের কথা বলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে আমরা তাকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে প্রেরণ করে।
ঘটনার পর থেকে হাফেজ আব্দুর রহিমের মোবাইল বন্ধ ও পালিয়ে রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হাককে বিষয়টি জানানো হয়। তারা বলেন আমরা বিষয়ে কিছুই জানি না। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়।
ইতিমধ্যে গণমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে যে, ইতিপূর্বেও মাদ্রাসায় অনুরুপ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আনোয়ারুর ইসলাম জানান, অভিযুক্ত ব্যাক্তি পলাতক রয়েছে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।