সালমান রুবেল
প্রতিনিধি পাথরঘাটা (বরগুনা)
ধর্ষনের শিকার ওই শিশুটির বাড়ী পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে। এঘটনায় ধর্ষনের শিকার ওই শিশুটির বাবা একজনকে আসামী করে গত সোমবার রাত পৌনে ১২টায় বামনা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
ওই অভিযুক্ত ধর্ষক বামনা উপজেলার ছোটভাইজোড়া গ্রামের সত্তার হাওলাদারের স্ত্রী’র পূর্বের স্বামীর ছেলে মো. নাসির(১৫)।
ধর্ষনের শিকার ওই শিশুটির বাবা সাংবাদিকদের জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর তার সৎ শ্বাশুরী লাইলী বেগম তার শিশু মেয়েকে রায়হানপুর থেকে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে আসে। গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে ঘুমন্ত ওই শিশুটিকে লাইলী বেগমের পূর্বের স্বামীর ছেলে মো. নাসির(১৫) জোড় করে ধর্ষন করে।
এসময় ওই শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ ঘটলে শিশুটি ডাকচিৎকার দিলে ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পায়। পরে ধর্ষকের মা এই ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিশুটিকে হুমকী-ধামকী দেয় এবং শিশুটির বাবাকে মোবাইল ফোন করে গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরনের বিষয়টি জানায়। গত সোমবার সকালে শিশুটির বাবা ঘটনাস্থলে আসলে তার ওপর তার বাবা বামনা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে ধর্ষনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সোমবার রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে বামনা থানায় অভিযুক্তধর্ষক নাসিরকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আজ সকালে শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত তারা বরগুনা কোর্টে অবস্থান করছিলেন।
শিশুটির ফুফু বলেন, আমার শিশু ভাতিজিকে এভাবে পৌচাশিকভাবে ধর্ষন করেছে নাসির নামে বখাটে। শিশুটির অবস্থা খুব খারাপ এখনো রক্তক্ষর হচ্ছে। জানিনা কি হয়। নাসিরের মা শিশুটিকে বিষয়টি না বলার জন্য হুমকী দিয়েছে। বর্তমানে শিশুটি শাররীক ও মানষিক ভাবে খুব ভেঙ্গে পড়েছে। এই পৈচশিক ঘটনার বিচার চাই আমরা।
বামানা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার একটি ধর্ষন মামলা করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষনিক ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে আসামী নাসির ও তার মা লাইলী বেগম বর্তমানে পলাতক রয়েছে।