নাস্তিক-মুরতাদ ধ্বংস করতে প্রয়োজনে শহীদ হব : বাবুনগরী
মোঃ আবু তৈয়ব. হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে বাংলাদেশকে স্পেন হতে দেব না বলে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমীর ও হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা সচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
শুক্রবার (১জানুয়ারি) জুমার নামাজের পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাবুনগরী আরো বলেন, যত ষড়যন্ত্র করা হোক কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে পারবে না। কেয়ামত পর্যন্ত কওমি মাদরাসা চালু থাকবে।
হাটহাজারী মাদরাসা জনগণের (কওম) মাদরাসা, আমরা তাদের চাকর, এ মাদরাসা কওমের (জনগণের) সহযোগিতায় চলে।
কোন বিদেশি দেশি ষড়যন্ত্র কওমি মাদরাসা বন্ধ করতে পারবে না। দেশের হক্কানী আলেম ওলামা সম্মানের পাত্র ওলামায়েকেরাম আল্লাহর অলি। আলেম-ওলামাদের সাথে বেয়দবি কখনো সহ্য করা হবে না। নাস্তিক-মুরতাদ অপশক্তির ধ্বংস করতে প্রয়োজনে শহীদ হব।
তিনি বলেন, সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যায়, মৃত ব্যাক্তিদের লাশ দাফনের জন্য কেহ এগিয়ে আসতো না। লাশ ফেলে রেখে স্বজনরা পালিয়ে যেত। তখন ওলামায়ে কেরাম করোনায় মৃতদের লাশ দাফন কাফনের মতো বিশাল সেবামূলক কাজ করেছেন।
ওলামায়ে কেরাম না থাকলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের লাশ কুকুর শেয়ালে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেত। আল্লামা শাহ জমির উদ্দিন রহ. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, আল মারকাজুল ইসলামি এবং তাকওয়া ফাউন্ডেশন করোনাকালীন সময়ে সেবামূলক বহু কাজ করেছেন। সুতরাং ওলামায়ে কেরামকে নিয়ে বিষোদগার করলে এদেশের তৌহিদি জনতা বরদাশত করবে না।
মাহফিলের শেষ অধিবেশন ছিল সমাবর্তন তথা দাওরা হাদীস (মাস্টার্স) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা পাগড়ি প্রদান। শিক্ষার্থীরা আবেগঘন পরিবেশে পাগড়ি গ্রহণ করেন। পাগড়ি প্রদান শেষে মজলিসে ইদারীর প্রধান মুফতী আজম আল্লামা আব্দুচ্ছালাম চাটগামী মূল্যবান নসীহত করে মুনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্তি করেন।
দিনব্যাপী উক্ত মাহফিলে মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতী জসিমুদ্দীনও শিক্ষক নূরুল আবছারের যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন হযরত মাওলানা আল্লমা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহ উদ্দীন, মাওলানা নূরুল ইসলাম, হযরত মাওলানা নোমান ফয়জী, মুফতী জসীম উদ্দীন, মুফতী কিফায়াতুল্লাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ড.আফম খালিদ হোসেন,মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মামুনুল হক,মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী, মাওলানা লোকমান, মাওলানা খোবাইব, মুফতী হাবীবুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা সাআদাত, মাওলানা নূরুল আবছার,মাওলানা আজীজুল হক আল-মাদানী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আয়ূবী প্রমূখ।