বিনোদন প্রতিনিধি :
পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, পরীমনি পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজিয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমরুল কাউসার ও আমানুল করিম লিটন মঙ্গলবার (২৯ জুন) শুনানিতে দাবি করেন, ৮ জুন রাতে সাভারের বেড়িবাঁধ এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে নিজেই মদ পান করে অপকর্ম করার চেষ্টা করেছেন পরীমনি।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. শাহাজাহী তাহমিদার আদালতে নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫) এবং তুহিন সিদ্দিকী অমির জামিন শুনানি হয়।
শুনানি শেষে আদালত নাসির উদ্দিন এবং অমিকে আগামি ৮ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় এই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেন ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইমরুল কাউসার, আমানুল করিম লিটন জামিন আবেদন জানান। বিকেল ৩টার কিছু পরে আসামিদের কারাগার থেকে এজলাসে তোলা হয়। সাড়ে ৩টার দিকে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, মামলাটি দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। মামলার বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘পরীমনি পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছেন। এ ঘটনার সাথে আসামিরা জড়িত নন। ওই ক্লাবে রাত তিনটা পর্যন্ত পরীমনি কি করলেন সেই ব্যাখ্যা এজাহারে নেই। তিনি মদ খেয়েছেন সিসিটিভির ফুটেজে তা আছে। তার দাঁত ভেঙে গেছে, ঠোঁট ফেটে গেছে, পায়ে লেগেছে সেই মানুষ কীভাবে মদ খায়? ঘটনার ৪ দিন পরে মামলা করা হয়েছে। পরীমনি আগে মিডিয়ার বাড়তি সুবিধা নিয়ে মামলা করেছেন। পরে মিডিয়া সেই ভুল বুঝতে পেরেছে। আসামি নাসির বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষ। তাকে দুই মামলায় ১২দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। নতুন তথ্য বের হয়নি। জামিন পেলে তিনি তো পালিয়ে যাবেন না। তাই যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করছি।’
অমির পক্ষে শুনানিতে বলা হয়, ‘আসামি অমি পরীমনিকে বলেছিলো সে এ ক্লাবে যাচ্ছে, তুমি (পরীমনি) নামতে পারো। এখানে কোনো প্রকার জোর করা হয়নি। তার বোনের কথা বলে সে নিজেই গেছে। ভিকটিমের শরীরের কোনো স্পর্শকাতর জায়গা স্পর্শ করেনি। পরীমনিকে অমি কোনো আঘাত করেনি। অমি তাকে মদ পান করায়নি। এজাহারে এমন কোনো কথার উল্লেখ নেই। উনি (পরীমনি) নিজেই মদ খেয়ে অপকর্ম করার চেষ্টা করেছেন।’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত নাসির উদ্দিন এবং অমির জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মাদক সংক্রান্ত মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমি এখনো জামিন পাননি।
Leave a Reply