সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে আমেরিকার নানামুখী তৎপরতার নেপথ্যের হাঁড়ির কথা খুলে বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমেরিকার উদ্দেশ্য এখানে নির্বাচন ও গণতন্ত্র নয়। তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের কথা বলে এই দেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায় যাতে ভারত মহাসাগর-বঙ্গোপসাগরের এই জায়গাটা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করতে পারে।
আমেরিকার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে ধ্বংস করা কারও কারও উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই কিন্তু এদের নানা ধরনের টালবাহানা। এটা দেশবাসীকে বুঝতে হবে।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকীর স্মরণ সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ সম্পন্ন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ১৫ আগস্ট আপনজন হারিয়েছি, সেই রায় কার্যকর করতে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখনো কয়েকটা খুনি বিভিন্ন জায়গায় আছে। আমরা আনার চেষ্টা করছি।’
বিশ্বে মানবাধিকারের ধোঁয়া তোলা কয়েকটি দেশ এখনও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে- এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সব থেকে অবাক লাগে, যেসব দেশে খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রাখা হয়েছে তারা যখন আমাদের কাছে এসে মানবাধিকারের কথা বলে। তারা নির্বাচনের কথা বলে, স্বচ্ছতার কথা বলে। তারা যেন এখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে খুব উতলা হয়ে পড়েছে।’
তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতি প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে পর এদেশের মানুষ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার চলল। কত মানুষকে খুন করেছে, হাত কেটেছে, চোখ তুলে নিয়েছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়েছে পুড়িয়েছে, অত্যাচার করেছে- তখন সেই নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি কেন? সেই নির্বাচনে তো আমাদের হারার কথা না। সেই নির্বাচনে তো জোর করে আমাদের হারানো হয়েছে।’