নীলফামারী প্রতিনিধি.
নীলফামারীতে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো ১লাখের অধিক নারী ও শিশু এইচপিভি টিকা পাবে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। এসময় জরায়ু ক্যান্সারের ভয়াবহতা এবং বিস্তৃতির বিষয়ে তুলে ধরেন সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই টিকাদান চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। মোট ১৮ কর্মদিবসের প্রথম ১০ দিন স্কুলের শিশুদের এবং বাকি ৮ দিন স্কুলের বাইরের শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে সদরে ২০ হাজার ৫৬৬, নীলফামারী পৌরসভায় ৪হাজার ২৩৩, ডোমারে ১৪ হাজার ৯২, ডিমলায় ১৫ হাজার ৭১৩, জলঢাকায় ২১হাজার ৭১০, কিশোরগঞ্জে ১২হাজার ২৬০, সৈয়দপুরে ৬হাজার ৪৪২ ও সৈয়দপুর পৌরসভায় ৮হাজার ৫১৩ জনসহ মোট ১ লাখ ৩ হাজার ৫২৯জন নারী ও শিশু এই টিকার আওতায় আসবে।
আরও জানানো হয়, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিভুক্ত নারীশিশু এবং বিদ্যালয়বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুরা টিকা পাওয়ার যোগ্য হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত এপস-এর মাধ্যমে নিবন্ধিত করার পরেই টিকা প্রদান করা হবে বিদ্যালয়গুলোর বাইরে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত কেন্দ্রে বিদ্যালয়বহির্ভূত শিশুদের টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকাটি বিশ্বব্যাপী পরিক্ষিত, নিরাপদ ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুল কাদের সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply