নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কাবিটার অর্থ বরাদ্দ দিয়েই শহরে রুপান্তরিত হচ্ছে গ্রাম
নুরল আমিন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার প্রাণপণ চেষ্টা সফল করতে নিরলস পরিশ্রম করছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার। গ্রামীণ অবোকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির আওতায় কাবিটার অর্থ বরাদ্দ দিয়ে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২৮টি প্রকল্পের রাস্তায় করা হয়েছে এইচ,বিবি করণ, সিসি সলিং ও মাটি ভরাটের কাজ। এতে পথচারীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
২০২০-২০২১অর্থবছরে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপির দেয়া বিশেষ বরাদ্দ কাবিটা ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ৭৬লক্ষ ৩হাজার ১’শ ৬৯টাকা ব্যায়ে ২৮টি রাস্তায় সংস্কার কাজ করা হয়েছে। উপজেলার কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ৫টি, রনচন্ডীতে ৩টি, গাড়াগ্রামে ২টি, মাগুড়ায় ২টি, নিতাই ইউনিয়নে ৩টি, বড়ভিটায় ২টি, পুটিমারীতে ৫টি, বাহাগিলীতে ৪টি, ও চাঁদখানা ইউনিয়নে ২টি রাস্তা করা হয়েছে সংস্কার।
তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের করল্লাবেচা পাড়ার হাজারো মানুষ সবচেয়ে বেশী খুঁশি। চলালের অনুপোযোগী রাস্তায় ছিলো খানাখন্দকে ভরা আর বর্ষা মৌসুম এলেই যেনো জমে থাকে হাটু জ্বল। করল্লাবেচা পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবুর রহমান, মহব্বত হোসেনসহ প্রায় ১শতাধিক মানুষ বলেন, মেয়ে বিয়ে দিতে গেলে রাস্তার কারণে ভালো ঘর জোটে না। বর্ষাকালে এক হাটু পানি জমে থাকে এমনকি কাদার জন্য রাস্তা ঘাট চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। খরা মৌসুমে তো খানাখন্দকে ভরা থাকে চলতে অনেক কষ্ট হয়। এখন আমরা অনেক আনন্দিত। আমাদের এই রাস্তাটা অনেক উঁচু করে ইট দিয়ে দুই স্তর বিশিষ্ট সলিং করা হয়েছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাদুবাদ জানাই আমাদের দীর্ঘদিনের এই অবহেলিত রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছে।
উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নেও পিছিয়ে নেই রাস্তা এইচ বিবি করণের কাজ। বাফলা মৌজার রহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কর্মসূচির পাশাপাশি আমরা এলাকার লোকজন এই রাস্তায় মাটি দিতে দিতে নাজেহাল হয়ে গেছি। এবার একটা মহতী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের এই রাস্তায় হিরিং বোর্ড দেয়া হয়েছে। আমার কাছে কাজটা অনেক ভালো মনে হয়েছে। এখন হাজারো পথচারি চলাচলে স্বস্তি পাবে। আমরা চাই এই রাস্তা পুরাটাই এভাবে ইট দিয়ে সলিং করা হলে আমাদের গ্রাম শহরে রুপান্তর হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শক্রমে নিচু রাস্তা গুলো নির্বাচন করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এই বছর প্রথম ২৮টি প্রকল্পের কাজে এইচবিবি করণ, সিসি করণ ও মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। এগুলো রাস্তায় বর্ষাকালে পানি জমে কাদা হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে যায়। তাই কাবিটা প্রকল্প দিয়ে রাস্তা উঁচু করে দুই স্তর বিশিষ্ট ইট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। আমার ধারণা এই পদ্ধতিতে রাস্তা সংস্কারে পথচারীরা দীর্ঘস্থায়ী সুফল ভোগ করবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ আবুল কালাম বারী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী এবারে প্রথম এইচ বিবি করণ ও সিসি করণ কাজ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকারের এটি একটি ভালো উদ্যোগ। আর এই উদ্যোগ গ্রহন করায় নিচু এলাকার রাস্তা উঁচু , টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।