পটুয়াখালী সদর থানাধীন বড় বিঘাইয়ে মাসুদ রানা ব্যাপারীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে জনৈক শ্যামল ডাক্তারের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। ভিকটিমের ভাই মাহফুজুর রহমান(১৬) হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একখানা মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং-১৪, তাং-০৭-১১-২০২১, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ দঃবিঃ। মামলা রুজু পরবর্তীতে মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সুপার, পটুয়াখালী মহোদয়ের তাৎক্ষনিক দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, অপরাধ ও প্রশাসনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)পটুয়াখালী, ডিবির একটি চৌকস টিম ও পটুয়াখালী থানা পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ অভিযানিক দল মামলা রুজুর ০৫ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িত ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। আটক ব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, নির্বাচন কালীন সময়ে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মজনু মোল্লার সমর্থনে প্রচারনা চালাইতো। স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্ধে ভিকটিম মাসুদ রানাকে টার্গেট করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য হত্যাকান্ড সংঘটন করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী আল আমিন ঘটনার দায় স্বীকার পূর্বক ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য আসামীর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেন। গত ১১-১১-২১ ইং তারিখ বড় বিঘাই এলাকা হতে স্থানীয় জনগনের সহায়তায় ঘটনায় জড়িত মাষ্টার মাইন্ড বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। বিল্লালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সমূহ ও আসামীদের দেওয়া তথ্য সমূহ পর্যালোচনা শেষে ঘটনায় জড়িত অপর আসামী মাসুম বিল্লাহকে ২৩-১১-২০২১ তারিখ পালিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে মির্জাগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীরা প্রত্যেকেই এই ঘটনায় জড়িত মর্মে স্বীকার করলেও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত সমূহ উদ্ধারের ব্যাপারে কৌশলে নিজেদের এড়িয়ে যায়। সর্বশেষ ধৃত আসামী মাসুম বিল্লাহকে নিবিড় ও ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রর্থী ওয়াহিদুজ্জামান মজনু মোল্লার ঘরের উত্তর পাশের ডোবা/পুকুরে ফেলে রাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে ০১ টি চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডের সাথে স্ক্রু সংযুক্ত চেইন গিয়ার এর সমন্বয়ে তৈরিকৃত দেশীয় অস্ত্র এবং ০২ টি বগি দা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সহিত জড়িত অপরাপর আসামীদের গ্রেফতর অভিযান অব্যহত রয়েছে।