বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
পরিবেশ সুরক্ষা করে কাঁকড়া চাষের আওতা বাড়াতে হবে। কাকড়া খামারের পাড়ে শাকসবজির চাষ করতে হবে। লবণাক্ততার বিষয়ে সতর্ক থেকে কাকড়া চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। (০৭ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সকালে মোংলার সাতপুকুরিয়া ও পশ্চিম দত্তেরমেঠ এলাকায় নবলোক পরিষদের বাস্তবায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ'র অর্থায়নে উন্নত পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে পিকেএসএফ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবেক সচিব ড. নমিতা হালদার একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রোমোটিং এগ্রিকালচারাল কমার্সিয়ালাইজেশন এন্ড এন্টারপ্রাইজ PACE প্রকল্প'র আওতায় কাঁকড়া চাষ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ'র প্রোজেক্ট ম্যানেজার আল ইমরান, নবলোক'র নির্বাহি পরিচালক কাজী রাজীব ইকবাল, নবলোক'র মোঃ আলতাপ হোসেন, প্রকল্প ম্যানেজার জাকির হোসাইন, পল্লব রায় প্রমূখ। কাঁকড়া খামার পরিদর্শনকালে চাষিরা পিকেএসএফ'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদারের কাছে কাঁকড়া রপ্তানিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দুর করার দাবী জানান। ড. নমিতা হালদার বৃহস্পতিবার সকালে মোংলার সাতপুকুরিয়া গ্রামে সনাতন শাঁখারীর ঘেরে পিস কাকাড়া ও খাঁচায় কাঁকড়া মোটাজাতকরণ এবং পশ্চিম দত্তেরমেঠ গ্রামে সুনিতা হালদারের ভার্টিক্যাল পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষের খামার পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য পিকেএসএফ'র সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নবলোক পরিষদ'র পক্ষ থেকে কাঁকড়া চাষি সনাতন শাঁখারি ও সুনিতা হালদারকে কাঁকড়া চাষের জন্য বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করা হয়। কাঁকড়া খামার পরিদর্শনকালে ড. নমিতা হালদারের সৌজন্যে নবলোক রিসোর্স প্রকল্প'র পক্ষ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে পটগান পরিবেশন করা হয়।