পলাশবাড়ীতে কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের কবলে পরে নিঃশ্ব শত শত মানুষ
ফজলার রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
পলাশবাড়ীতে শত শত মানুষকে সর্বশান্ত করে বিলাশ বহুল অট্টালিকা তৈরি করেছেন কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী রুহুল আমিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন জানান, পলাশবাড়ী পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামের ময়না কসাই এর ছেলে রুহুল আমিন এক সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগে দিন মজুরের কাজ করতো।
প্রায় ২৫/৩০ বছর আগে মাত্র কয়েক হাজার টাকা নিয়ে তিনি শুরু করে দাদন ব্যবসা।
এরপর দাদন ব্যবসার টাকা আদায় করতে ভয়ংকর রুপ ধারণ করতে থাকে এই রুহুল আমিন। কেউ টাকা নিয়ে সময় মত দিতে না পারলে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
তাকে সর্বদা সব সময় সহযোগিতা করতেন সাবেক একজন ইউপি চেয়ারম্যান। তার প্রভাবেই তিনি হাজার থেকে লক্ষ এর পর কোটিপতি বনে যায়।থানায় শালিস কিংবা আইনগত জটিলতায় পড়লে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তা মিমাংসা করা হতো।
টাকা দিতে না পারা এমন বেশ কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য গৃধারীপুরের জেলাল, নুর আলম, চকপাড়ার আইজার, নওশা, মনোয়ার, সিএন্ডবির মজিবর মহেষপুরের আনোয়ার মুন্সি, পলাশগাছীর মৃত মোজাম্মেল, গৃধারীপুরের জাহিদুল, ভাটা মালিক বক্কর, ডিস ব্যবসায়ী প্রভাতসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি।
এদের কারো চেক বহি স্বাক্ষর, কারো সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জিম্মি করে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আদায় করা হয়ে থাকে। অনেকে শেষ সম্বল বাড়ী ভিটে মাটি জমি নিজ নামে লিখে নিয়ে সর্বশান্ত করে বিলাশ বহুল অট্টালিকা তৈরি করেছেন এই দাদন ব্যবসায়ী রুহুল ও জহুরুল।
এছাড়াও টাকার বিনিময়ে সোনার গহনা, মুল্যবান আসবাবপত্র, মোটর সাইকেল, গরু-ছাগল পর্যন্ত ধরে নিয়ে যাওয়ার মত নজির স্থাপন করেছেন এই দাদন ব্যবসায়ী।
টাকা আদায়ের জন্য রুহুল আমিনের রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী। এটা মোটর সাইকেল হাকিয়ে প্রতিদিন টাকা আদায়ের জন্য ভুক্তভোগীদের বাড়ীতে গিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার চালায়।
সস্প্রতি রুহুল আমিন পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামে তৈরী করেছেন কোটি টাকা ব্যায়ে ৫ তলা একটি ভবন।
চলবে--------