শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-
পাইকগাছার কপিলমুনিতে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গা দখল করে কয়েক লক্ষ টাকা বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে সোমবার জেলা পরিষদের নির্দেশে পাইকগাছা উপজেলা কমিশনার ভূমি সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ সরেজমিনে জরিপ পূর্বক জেলা পরিষদের জায়গা নির্ধারণ করেছে।নির্ধারণ পরবর্তী জেলা পরিষদের জায়গা অবৈধ দখল করে কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জানাগেছে,পাইকগাছা-খুলনা সড়কের কপিলমুনি পাবলিক লাইব্রেরীর উত্তর পার্শ্বে ৪২০ দাগে জেলা পরিষদের রাস্তা ও তদস্থলে ৪৩৫ দাগে মনোরঞ্জন দাশের (ভিপি) মূল্যে সম্পত্তি।এক্ষণে জেলা পরিষদের রাস্তার জায়গাসহ জনৈক মনোরঞ্জন দাস দখল দেখিয়ে ২ শতক সম্পত্তি জনৈক হারুন ও অরুপ গংদের নিকট প্রায় ২৫ লক্ষ টাকায় কথিত ষ্টাম মূলে বিক্রয় করেন। এমতাবস্থায় জনৈক হারুন ও অরুপ গং সেখানে পাকা ইমারত নির্মাণে এলে বাধে-বিপত্বি।একদিকে প্রকাশ্যে দিবালোকে জেলা পরিষদের জায়গা দখল ইমারত নির্মাণ।অপরদিকে রাস্তার জায়গা বিক্রয় কয়েক লক্ষ টাকার বানিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।জায়গা উদ্ধারে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার উপজেলা সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ,তর্কিত সম্পত্তির কথিত ক্রেতা জৈনক হারুন ও অরুপগং এর পক্ষে সার্ভেয়ার নিছার আলী বিশ্বাস ও সার্ভেয়ার রহমত সরেজমিনে মাপ জরিপ করে জেলা পরিষদের ৪২০ দাগে অর্ন্তভূক্ত সরকারী রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে। আর এরই মধ্যে দিয়ে অবৈধ দখলদারদের অনুকূলে থাকা জেলা পরিষদের মূল্যবান সম্পত্তি উদ্ধার হয়। যাহার দাগ নং-৪২০,মৌজা-নাছিরপুর,জে এল নং-১৬,এসএ খতিয়ান নং-৬৪। এব্যাপারে সরেজমিনে সাংবাদিকদের কাছে সাক্ষাতকার কালে মনোরঞ্জন দাসের সম্পত্তির কথিত ক্রেতা জৈনক হারুনার রশিদ বলেন, আমি এ সম্পত্তি ক্রয় করিনি।আমি এখানে মনোরঞ্জনের প্রতিনিধি হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি।কিন্তু তার বক্তব্যে সাথে সরেজমিনে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকার বিষয়টি রহস্যজনক।একই সময় অপর ক্রেতা অরুপ দত্ত বলেন, আমি উক্ত সম্পত্তি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়েছি।এখানে আমি দুই আনা অংশীদারও বটে।উক্ত বিষয়ে সার্ভেয়ার কওছার আহমেদ বলেন, মূলত আমি ৪২০ দাগে জেলা পরিষদের রাস্তা ও ৪৩৫ দাগে মনোরঞ্জনের ডিসিআর কৃত সম্পত্তির সীমানা নির্ধারণ করতে এসেছি।রাস্তার জায়গা দখল করে বিক্রয়ের বিষয়টি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন।