শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-
আসন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষ্যে দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দূর্গা প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করতে এখন চলছে রং তুলির খেলা। ভিন্ন রংয়ের বাহারে দূর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমাকে তাই সাজিয়ে তুলতে মৃত শিল্পীরা কাজ করে চলেছে হরদম। এবার সব থেকে এলকাবাসী ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নজর কাড়ছে পাইকগাছা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কপিলেশ্বরী কালী মন্দির সংলগ্ন কপিলমুনি কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা মিলন মন্দিরের প্রতিমা। প্রসঙ্গত, এ বছর উপজেলার ১৪৯টি পূজা মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গা উৎসবের প্রস্তুতি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবকে ঘিরে তাই সর্বত্র চলছে সাজ সাজ রব। কিছু কিছু পুজা মন্ডপ ঘিরে চলছে ব্যাতিক্রমী আয়োজন। তারমধ্যে কপিলমুনি মিলন মন্দিরের প্রতিমাসহ সাজ-সজ্জায় রয়েছে ডিজিটাল আধিক্য। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দূর্গা স্বর্গ থেকে আগমণ ঘটেছিল মর্ত্য লোকে। এরই ধারাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন করেন৷ সারাদেশের ন্যায় এবারও খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা, উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ৬অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দূর্গাপুজার শুভ সূচনা শুরু হবে। ১১অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী, ১২অক্টোবর মঙ্গলবার সপ্তমী, ১৩অক্টোবর বুধবার অষ্টমী, ১৪অক্টোবর বৃহস্পতিবার মহানবমী ও ১৫অক্টোবর শুক্রবার শুভ বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে এ উৎসবের পরিসমাপ্তি ঘটবে। এ ব্যাপারে কপিলমুনি কেন্দ্রীয় দূর্গাপুজা মিলন মন্দিরের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাধু জানান, মহাকালী মায়ের তীর্থস্থান ঘিরে দূর্গা মিলন মন্দিরের অবস্থান। সেজন্য দূর্গাপুজা উপলক্ষ্যে দূর্গা প্রতিমা থেকে শুরু করে সাজ-সজ্জা, প্যান্ডেল, আলোক সজ্জা ও সার্বিক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি একটু ব্যাতিক্রমী ভাবে করা হয়ে থাকে। দর্শনার্থীদের আগমনটাও এখানে একটু বেশি। বলাযায়, দূর্গাপুজাকে ঘিরে আমাদের পক্ষথেকে আয়োজনের কোন কমতি নেই। এখনও পর্যন্ত সার্বিক পরিবেশ খুবই ভাল। এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান, সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে পূজা উদযাপন করার লক্ষ্যে প্রতিটি মন্ডপ পরিচালনা কমিটিকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনী সক্রিয় ভূমিকায় মাঠে কাজ করবে বলে আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।