শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা(খুলনা) প্রতিনিধি:
এবারের ঈদে খুলনার সবচেয়ে বড় গরুর দাবিদার পাইকগাছার বাহাদুর’’। উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুটেরও বেশি, দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ ফুট ও ওজন ৩৫ মনের বেশি। আচার-আচারণে রাজকীয় ভাব। মেজাজ প্রায় সবসময় খারাপ থাকে। আজ তার বয়স ৩ বছর ২৩ দিন। এখন পর্যন্ত বাহাদুরের দাম উঠেছে ৯ লাখ টাকা। তবে এর মালিক চাইছেন, ২০ লাখ। আকার ও আচারণে ইতোমধ্যে বাহাদুরের নাম ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালীর রামনাথপুরের একটি সৌখিন খামারে বাহাদুরের বেড়ে ওঠা। প্রতিদিন অসংখ্য লোক আসছেন, বাহাদুরকে এক নজর দেখতে। আগতদের অনেকে দাম হাকাচ্ছেন একেক রকম। খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের শেখ সাদেকুজ্জামানের সৌখিন খামারে বেড়ে উঠেছে বাহাদুর। এক রকম শখের বসে বাহাদুরকে লালন-পালন শুরু করেন খামারী। বাহাদুরের মালিক শেখ সাদেকুজ্জামান জানান, বাড়িতে শখের বসে অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি গাভী পালন শুরু করেন তিনি। গাভীটির নাম রাখা হয় রানী। এই রানীর প্রথম বাচ্চাই আজকের বাহাদুর’। বাহাদুরের জন্মের সময় ওজন ছিল ৪২ কেজি। দেখতে নাদুস- নুদুস হওয়ায় তার নাম রাখা হয় বাহাদুর। এখন বাহাদুরের প্রতিদিন খাবারের যোগান দিতে হয়, সাত শ’ টাকার মত। প্রতি দিন নিয়ম করে ৩ বার গোসল করাতে হয়। তবে গোয়ালঘরে সার্বক্ষনিক ফ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। বাহাদুরের আচার-আচারণ ও ভারী মেজাজের কারণে গোয়াল ঘর থেকে বের করা হয় না। এছাড়া বাহাদুরের উচ্চতা ও বড় আকারের কারণে গোয়াল ঘরের দরজা দিয়ে এখন বের কারনোও সম্ভব না। তবে তাকে বের করাতে একবার ঘরের দরজা ভাঙ্গতে হবে। এদিকে বাহাদুর মালিক ছাড়া অন্য কেউ কাছে ঘেঁষতে কিংবা তার গায়ে হাত দিতে দেয় না। দিলেও রুদ্র মূর্তি ধারণ করে ক্ষেপে যায় সে। মালিকের কথাই যেন, বাহাদুর কেবল বুঝতে পারে। মালিক তাকে শোয়া থেকে উঠে দাড়াতে বললে বাহাদুর দাঁড়িয়ে যায়। মালিক ছাড়া অন্য কেউ তার কাছে গেলে তাড়া করে। বাহাদুর এখন খুলনার পাইকগাছার অন্যতম কুরবানির পশু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ক্রেতারা প্রতিদিন বাহাদুরকে দেখতে ভিড় করছে গোয়ালের সামনে। দেশের বড় গরুগুলোর মধ্যে বাহাদুর অন্যতম। তার বয়স ও ওজনের উপর ভিত্তি করে মালিকের পক্ষে দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা। যদিও ক্রেতারা এখন পর্যন্ত তার দাম হাকিয়েছেন, ৯ লাখ টাকা।