পাইকগাছার হরিঢালীতে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ফজলু গাজী এ বিষয়ে বিজ্ঞ উপজেলা নির্বাহী আদালতে প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমান গং এর বিরুদ্ধে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা একটি মামলা করেছেন। যার নাং এম আর ২৪২/২০। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় ও উক্ত সম্পত্তিতে দখল ভিত্তিক স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে থানা ওসিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মফিজুর উক্ত নির্দেশনা না মেনে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বসতঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলার প্রথম পক্ষ ফজলু গাজী মাহমুদকাটি মৌজায় বিআরএস ৫৪ নং খতিয়ানে ১.৬৮ একর জমিতে ১৩৫ হিস্যায় রেকর্ডীয় মালিক। এছাড়াও একই খতিয়ানের মালিক হাশেম আলী ও ফতেমা খাতুনের কাছ থেকে খরিদা সুত্রে ০৬ একর সহ .১৮২৫ একর জমি জহর আলী সরদারের নিকট থেকে খরিদা সুত্রে দখলপ্রাপ্ত হন। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ মফিজুর রহমান গাজী মামলার প্রথম পক্ষ ফজলুর নিকট থেকে অন্য দাগে জমি খরিদ করলেও নালিশী দাগে জমি দখল শুরু করে। পরবর্তীতে দেখাযায়, নালিশী দাগের জমি তার দলীলভুক্ত হয়নি।অথচ সম্পূর্ণ গায়ের জোরে সেখানে বহিরাগত লোকজন নিয়ে পাকা ঘর নির্মান করছেন। ঘর নির্মানে বাঁধা দেয়ায় ফজলুর স্কুল পড়ুয়া দুকন্যা কাশমিরা (১৫) ও সাথী (১৭) সহ মাতা সাহিদা বেগমকে কয়েক দফায় বেধড়ক মারপিট করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয় মফিজুর। ঘর নির্মান ও মারপিটের বিষয়ে স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই মনিরুজ্জামান হাজরাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেননি বলে জানান তারা। এ বিষয়ে এস আই মনিরুজ্জামানের সাথে মুঠো ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী ফজলু ও তার অসহায় পরিবার জীবনের নিরাপত্তা সহ গায়ের জোরে ঘর নির্মান বন্ধে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।