পাইকগাছায় নির্মিত হতে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন
সরদার ইউনুছ আলী পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় অবশেষে নির্মিত হতে যাচ্ছে দীর্ঘ প্রত্যাশিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। প্রায় ২০ বছর পর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জায়গা নির্ধারণ পূর্বক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্ধারিত স্থানে সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরের আংশিক এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পাইকগাছা পৌরসভা। এটি খুলনা জেলার প্রথম পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও গত ২ যুগেও নির্মিত হয়নি ফায়ার স্টেশন। শুরু থেকেই তৎকালীন সংসদ সদস্য ও মেয়রবৃন্দ অত্র পৌর এলাকায় একটি ফায়ার স্টেশন করার জন্য উদ্যোগ নেয়। যদিও উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হয়নি।খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু ও মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের ফায়ার স্টেশন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। জেলা শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অত্র পৌরসভা ও উপজেলা সদরের অবস্থান হওয়ায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন জরুরী হয়ে পড়ে। ফায়ার স্টেশন না থাকায় গত দুই দশকে উপজেলা সদর এবং বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনিতে অগ্নিকান্ডে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে একদিকে গত দুই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ প্রকল্পটি।
অপরদিকে জায়গাও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ব্যক্তিগত ফায়ার স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি অধিকগুরুত্ব দিয়ে এর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেন। যার অংশ হিসেবে পৌর সদরের শিববাটী মৌজায় টেকনিক্যাল স্কুল ও সংসদ সদস্যের বাসভবনের মাঝে পাইকগাছা-কয়রা সড়কের পাশে ১ বিঘা জমি ফায়ার স্টেশনের জন্য নির্ধারণ করে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছেন। একই সাথে নির্ধারিত স্থানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতাধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাইন বোর্ড টানানো হয়েছে।