1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
পাটের সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে চলনবিলের কৃষকেরা। - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
ad

পাটের সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে চলনবিলের কৃষকেরা।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১
  • ৩৪৮ Time View

সামাউন আলী, সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতাঃ

পাটকে বাংলাদেশে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্য একটি। বাংলাদেশের পাট বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়ে থাকে , তাই পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। কিন্তু দিন দিন বাংলাদেশে পাটের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তার প্রধান কারণ হলো পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপক আকারে বেড়ে যাওয়া, পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া, পাট চাষের সাথে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদির দাম বেড়ে যাওয়া, সারের দাম বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। তবে এখন রোপা পদ্ধতিতে চাষ করায় পাটের উৎপাদন বেড়ে গেছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। তাই কৃষকেরা আবার পাট চাষের দিকে মনোযোগী হয়েছে।

নাটোরের সিংড়ায় সোনালী আঁশ পাট কাটা ধোয়া এবং শুকানো শুরু হয়েছে আর পুরুষের পাশাপাশি এই কাজে সহযোগিতা করছে নারীরাও। ইতিপূর্বে অনেক পাট চাষীরা মাঠের পাট কেটে জাগ দিয়ে ধুইয়ে তুলেছে। পাটের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা তাদের পাটক্ষেতে সময়মত পরিচর্যা করার কারণে এই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চলতি বছরে সিংড়া উপজেলায় ১৯ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে পাট রোপন করেছে কৃষকরা। আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে সময় মত পাট কেটে ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা বলে জানান। শ্রমের দাম বেশী হলেও কৃষকরা পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে অনেকেই জানান।

শনিবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, মাঠ জুড়ে পাট আর পাট। তবে কৃষকরা বলছেন, পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এক সময় পাটের ব্যবহার বেশী হওয়ায় একে সোনালী আঁশ বলা হতো। কিন্তু বর্তমান প্লাষ্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এ সোনালী আঁশের বাজারে ধস নেমেছে। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সিংড়া উপজেলার, শেরকোল, লালোর, হাতিয়ান্দহ্, কলম, চামারি ইউনিয়ন গুলোতে পাট চাষ করেছে কৃষকরা এবং তারা আশা করেছেন এ বছর পাটের মূল্য বেশী পাবো। সে জন্য গত বছরের তুলনায় এ বছরে অনেক চাষীরা পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। পাট চাষীরা বলেন, এবার প্রাকৃতিক তেমন কোন দূর্যোগ না হওয়ার সুন্দর পরিবেশে পাট কেটে শুকিয়ে ঘরে তুলতে পারবো এবং লাভবান হবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেলিম জানান , এবার উপজেলায় ১৯হাজার ৯শত ১৯হেক্টর জমিতে পাট রোপন করেছে কৃষকরা। এবছর সময় মত পাট কেটে ও ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, এইবার পাট বিক্রি করে লাভবান হবেন কৃষকেরা।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি