পাথরঘাটা(বরগুনা) থেকে,
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাদুরতলা মতি মুন্সি বাড়ি এ ঘটনা ঘটে।
পুত্রবধু কুলসুম তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে বলেন তার স্বামী কাজের জন্য (মাছ ধরতে) নদীতে গেলে তার শশুর তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করত বাবার বাড়ি যেতে চাইলেও যেতে না দিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করত।
এর পর গত মঙ্গবার বাবার বাড়ি যাবার জন্য পুত্রবধু কুলসুম দুলাভাইকে গোপনে আসতে বলে এবং রাত ৯টার দিকে দুলাভাই শ্বশুর বাড়িতে আসলে, তাকে তার চাচা শ্বশুর ইকবাল মুন্সী যাওয়ার সময় তাকে ও দুলা ভাইকে চোর সাজিয়ে আটক করে এবং লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থলে বেধড়ক মারধর করে।
পরে শ্বশুরের বাড়িতে আনা হয় ও পরে শ্বশুর মোস্তফা মুন্সী ও চাচা শ্বশুর ইকবাল মুন্সী তাদেরকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে এবং মুখে গামছা দিয়ে বেধে এক রাত একদিন বেধাড়ক মারধর করে।
পরে গণমাধ্যমকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় এবং সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানায় খবর দিলে তৎক্ষণাৎ সঙ্গে সঙ্গে পাথরঘাটা ডিএস বি প্রধান মোঃ আনিসুর রহমান ও কনস্টেবল রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্বশুর কে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমত তিনি অস্বীকার করেন। পরে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে পরে তিনি স্বীকার করে নেন ও বলেন মেম্বারের কথায় আমরা বেঁধে রেখেছি।
পরে পুত্রবধূ জবানবন্দি নেওয়া হয়,তিনি জবানবন্দিতে জানান।
আমার স্বামী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে বাহিরে থাকলে আমার শ্বশুর আমাকে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে করত এবং আমার বাবার বাড়ি থেকে কাউকে বেড়াতে আসতে দেয়না এবং আমাকেও বেড়াতে যেতে দেয়না। শ্বশুরের নির্যাতন সইতে না পেরে আমার দুলাভাই কে খবর দেই, তিনি আসলে তাকে চোর সাজিয়ে রাত ১১ টা থেকে পরের দিন ৫ টা পর্যন্ত শিকলে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাকিল আহমদ শিবু এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ঘটনা জানি কিন্তু শিকলে বেধে রাখতে বলিনি।
পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানা ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার ঘটনার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।