সৈয়দ মোঃ রাসেল, স্টাফ রিপোর্টার।।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ সকল সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় কলাপাড়া উপজেলায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নদী ও সাগরের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ। বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকলে খরিপ-২ শষ্যে বড় ধরনের ক্ষতির শংকা করেছেন চাষীরা।
আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্য আধিক্য বিরাজ করছে এবং গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দর গুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা ট্রলারসমূকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। সেইসাথে দেশের দক্ষিনাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এ সময় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
মহিপুর আল্লাহ ভরসা মৎস আড়তের স্বত্বাধিকারী তানভীর আহমেদ লুনা আকন জানান, দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল জেলেরা। কিন্তু হঠাৎ করে আবহাওয়ার এ সংবাদে চিন্তায় পরেছেন মৎস্য ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্তরা।
উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক মো.আসাদুজ্জামান খান জানান, সমুদ্রে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে।