রহিম উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার গোয়াইনঘাট(সিলেট)
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট অঞ্চল,সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পিয়াইন ও ডাউকি নদীর সাথে সম্পৃক্ত নদীগুলো ভরাট হওয়ার ফলে গত বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্যোগে পড়ে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষক ও মধ্য শ্রেনীর দিনমজুর মানুষ হারাতে হয়েছে অনেকের পোষা প্রাণী। ভয়ানক এমন পরিস্থিতিতে পড়ে অনেকেই ভাবছিলেন জীবন বোধহয় সমাপ্তির দিকে বন্যায় ভেসে যেতে চলেছে,অনেকে আবার সবকিছুর মায়া ছেড়ে ঘরের চালায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় উপজেলা পরিষদ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা পরিষদের সদস্য সুবাস দাস, বাংলাদেশ সেনা সদস্য ও গোয়াইনঘাট থানাপুলিশসহ্ সচেতন মহল একে একে আটকাপড়া অপরের উদ্ধার কাজে সহায়তা করেছিলেন। খাদ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মানুষ খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বন্যা কবলিত সিলেটের বিভিন্ন নিম্ন অঞ্চল এলাকায় ক্ষুধার্ত পরিবারদের মুখে খাবার দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলার একাধিক এলাকাবাসী জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলাসহ্ সিলেটে এমন বন্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে আমরা দেখতেছি নদী ভরাটের বিষয়টি। তাহারা বলছেন পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া খুবই প্রয়োজন, গত বন্যা আমাদের জন্য একটা মর্মান্তিক ইতিহাস যা আগে কখনো ঘটেনি।আগেকার দিনে বন্যা আসলে নদীর পানি নদীপথেই প্রবাহিত হতো,এখন পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণ নামার সাথে সাথেই আমাদের ঘরের দরজায় বন্যার পানি কড়া নাড়ে কোথাও বেরহওয়ার সুযোগ থাকে না।
বন্যার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এলাকাবাসী আরো জানান,ডাউকি নদীর মুখ ৪/৫বছরে প্রায় দুই কিলোমিটার পাথরে ভরাট থাকায় বন্যা নামলেই সহজে ধান-পান,কৃষি, গবাদিপশু,কৃষক শ্রমিকসহ্ আমাদের ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্ত করে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ(এমপি)সহ্ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদ্বয়ের সুদর্শনে বন্যা কবলিত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের দাবী জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার UNO মো.তাহমিদুর রহমান জানান,বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নে ও জনসাধারণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন,ভরাট হওয়া ধলেশ্বরী নদী ইতোমধ্যে বিএডিসি খাল খনন প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক নদী খনন উপযোগী হলে প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হবে।