মোঃ পারভেজ হাসান
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার নিভৃত পল্লী বাড়েয়া গ্রামের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিনব এক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য গঠন করাকে কেন্দ্র করে উক্ত ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়ঃ বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র প্রদান করা হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কনক লতার পছন্দের এক ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য বানানোর জন্য উক্ত ব্যক্তির সন্তানকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূয়া ( ছাত্রী) দেখান।
আরো জানা যায়ঃ সেই ছাত্রী পড়াশোনা করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার সুনামধন্য স্কুল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭তম শ্রেনীতে সে নিয়মিত ক্লাস করে তা প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় স্পষ্ট।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলাম জানানঃ রীমা মনি রায় আমাদের স্কুলের ৭তম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী।
এই দিকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উনার সার্থহাসিলের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করান।
এই দিকে অবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জনমনে শতশত অভিযোগ বিরাজ করছেঃ প্রচুর অর্থ খরচ করে ওই ব্যক্তিকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর কিছু পদে নিয়োগ আছে তাই প্রধান শিক্ষক এবং উনার স্বামী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উভয়ে মিলে তাদের পছন্দের কমিটি ও সভাপতি নির্বাচিত করতে পারেন এজন্য অভিনব প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছেন।
ইতিপূর্বে স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীর কয়েকটি পদে লোকবল নিয়োগ করা হবে বলে এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাই মনমত সভাপতি থাকলে নিয়োগ বানিজ্যে মোটা অংকের টাকা কামাতে পারবেন এই আশায় তাদের পছন্দের ব্যক্তি ভুপতি ভুষন চন্দ্র সরকারকে সভাপতি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেনঃ ভুপতি ভুষন চন্দ্র সরকার কিভাবে আদর্শ স্কুলের সভাপতি হলেন, তার মেয়ে রীমা মুনি রায় তো এই স্কুলের ছাত্রী না- সে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্রী তার রোল নং- ১১, শাখা- ক!
এলাকাবাসী এই অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞ আদালতের একটি লিখিত অভিযোগ ও দিয়েছেন। কিন্তু এলাকাবাসী কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
একজন শিক্ষক প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা যায়ঃ এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর প্রধান শিক্ষক এবং তার স্বামী বিভিন্ন ভাবে স্কুলের অন্য শিক্ষকদের হুমকি দিচ্ছেন। কেউ তাদের কিছুই করতে পারবে না উপরের সব ঠিক করা আছে বলে প্রধান শিক্ষকের স্বামী প্রচার করে বেড়াচ্ছেন।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলোঃ প্রধান শিক্ষকের স্বামী উক্ত স্কুলে চাকরি করেন না কিন্তু উনি স্কুলের অফিসিয়াল কাগজপত্র, অফিসের চাবি সব উনার কাছে রাখেন, উনি নিজেকে বলেন, আমার স্ত্রী প্রধান শিক্ষক আমিই সব এই স্কুলের।