পূর্ব জাফলংয়ে পর্যটন মোটেলের' ভিতরে জুয়ার আসর নেপথ্যে সাজ্জাদ চক্র।
কামরুল ইসলাম গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্ভুক্ত জাফলং গুচ্ছগ্রামের পর্যটন মোটেল জাফলংয়ের ভিতরে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উত্তর মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত জুয়াড়ি সাজ্জাদের নেতৃত্বে পর্যটন মোটেলের ভিতরে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসছে।
তার সঙ্গে সহযোগিতায় জড়িত রয়েছে উত্তর মোহাম্মদপুর এলাকার দুলাল মিয়ার পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী শাকিল মিয়া ও গুচ্ছগ্রামের শশী মিয়ার পুত্র চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী মামুন মিয়া এবং উত্তর মোহাম্মদপুর এলাকার পাকিস্তানির পুত্র চোরাচালানকারি শীর্ষ জুয়ারী আলী আকবর।
ইতিমধ্যে পর্যটন মোটেল জাফলংয়ের ভিতরে প্রকাশ্যে দিবালোকে জুয়া খেলার ভিডিও সিলেটের চিত্র কর্তৃপক্ষের হাতে আসে।
ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এই ৪ প্রধান সহ কয়েকজন যুবক জুয়া খেলা ও মাদক সেবনে মেতে উঠেছে।
সংবাদ কর্মীদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে,পর্যটন মোটেল জাফলংয়ের ভিতরে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসার পিছনে মূল কারিগরই হচ্ছেন সাজ্জাদ, শাকিল, মামুন ও শীর্ষ দালাল চক্রের সদস্য জুয়ারি আলী আকবর।
সাজ্জাদের নেতৃত্বে জাফলংয়ের বিভিন্ন স্পটে বসে জুয়ার আসর। আর জুয়াড়ি সাজ্জাদ বলে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি। তার অপর সহযোগী শাকিল ও মামুন জাফলং এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।
তারা দুইজন পূর্বে কয়েকবার মাদক নিয়ে পুলিশ ও র্যাবের হাতে আটক হয়েছে। যাহার মধ্যে উল্লেখ্য শাকিলের বিরুদ্ধে মদের ১টি মামলা ও ইয়াবার ১টি মামলা রয়েছে এবং মামুনের বিরুদ্ধে ইয়াবার ২টি মামলা রয়েছে। তারা জামিনে বেরিয়ে আরো বেপরোয়া ভাবে জাফলংয়ে মাদক বানিজ্যি চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের আরেক সহযোগী, আলী আকবর উরফে চোরাকারবারি আকবর নামে এলাকায় ব্যাপক পরিচিত।
সে রাতে চোরাচালানের কারবার করে আর দিন হলে জুয়া সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকে বলে উঠে এসেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানান,ওই চার প্রধানের নেতৃত্বে পর্যটন মোটেল জাফলংয়ের ভিতরে প্রকাশ্যে দিবালোকে প্রতিনিয়ত জুয়ার আসর বসে।
সেখানে জুয়ার আসরের পাশাপাশি মাদকের রমরমা বানিজ্য চলে আসছিলো বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
এদের একটি চক্রও রয়েছে বলে জানান তারা। তারা এলাকার কতিপয় বখাটে ছেলে বলে তাদের এই অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে সাজ্জাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদকে জানান, তিনি মোটরসাইকেল চালক। জুয়ার আসরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসব কিছু তিনি জানেন না বলে সাফ জানিয়েছেন। ভিডিও এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার যা ভালো লাগে করেন কোথা থেকে কি হচ্ছে তা আমি বুঝতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে পর্যটন মোটেল জাফলংয়ের বর্তমান ম্যানেজার প্রতিবেদককে সাক্ষাতে জানান, আচ্ছা আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।
কিছুদিন আগে দুইজনকে ইয়াবা সেবনের সময় হাতে-নাতে ধরে স্থানীরা থানায় তাদের হস্তান্তর করে। আর একদিন কিছু ছেলেদের দেখে তাদের ধরার চেষ্টা করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আর তিনি এখানে অল্প কিছু দিন থাকবেন তাই তিনি নতুন করে কোন ঝামেলায় জড়াতে চান বলে জানান।
সর্বশেষে এলাকার সচেতন মহল যুবসমাজ ও নতুন প্রজন্মকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করা ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।