হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনা নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে প্রতিরক্ষা সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে বৈঠকে করেছেন ভারত ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা। দিল্লি সফররত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বৈঠকে বাণিজ্য সম্পর্ক, আন্তদেশীয় সন্ত্রাসবাদ দমন ও আফগানিস্তান বিষয়ে আলোচনাও এজেন্ডায় ছিল।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ২১তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার দিল্লি আসেন পুতিন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকের পর পুতিন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এটিই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, বার্ষিক এই সম্মেলনে রাশিয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুই দেশ বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে জানান তিনি।
আলোচনায় ভারত ও রাশিয়া ১০ বছরের সামরিক ও প্রযুক্তিগত চুক্তি করবে। ফলে রাশিয়া ভারতে নতুন প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে পারবে।
মোদি-পুতিন বৈঠকের আগে দিল্লিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, কার থেকে কী অস্ত্র কেনা হবে সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা ভারতের রয়েছে। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে ভারত যার থেকে ইচ্ছা অস্ত্র কিনতে পারবে।
ভারত ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অন্যদিকে চীনকে মোকাবেলায় ভারতকে গুরুত্ব দেয় আমেরিকা। ইতোমধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার গঠিত কোয়াডে যোগ দিয়েছে ভারত। তবে, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছে দেশটি, যেমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ন্যাটো সদস্য ও বন্ধু রাষ্ট্র তুরস্কের ওপর। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত সফরে এলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সফরে ভারত ও রাশিয়া তাদের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি আরও জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশ দুটি ইতিমধ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।