-হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
ফিনল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে ফিনল্যান্ডে যাত্রা বিরতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৩৭ মিনিটে হেলসিঙ্কি ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯০১ ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন। হেলসিঙ্কিতে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন আবাসস্থল হেলসিঙ্কির হোটেল ক্যাম্পে যান।
ফিনল্যান্ডে যাত্রাবিরতি শেষে আগামী রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় হেলসিঙ্কির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউইর্য়কের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি নিউইর্য়ক সময় বিকাল ৬টার দিকে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিক অধিবেশনের কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করবেন। খবর বাপসনিঊজ।
এবারের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন হবে সীমতি আকারে। চলবে দুই সপ্তাহ ধরে। ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ব নেতারা বক্তব্য দেওয়া শুরু করবেন।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের প্রায় ৬১টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঝুঁকিতে আছে। উন্নত দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তাদের আগ্রাসী উদ্যোগ নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
উন্নত দেশগুলো ২০১৫ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর ১২০ বিলিয়ন ডলার তহবিলে জমা দেবে। ২০২০ সালে এ তহবিলে প্রতিশ্রুতির অর্থ জমা দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে জোরালো আলোচনা করা হবে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তন, নদী ভাঙনসহ নানা কারণে বহুলোক ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। ২০৫০ সালে এটি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার কথা। এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি একটি বড় ইস্যু হিসেবে আলোচনা থাকছে। টিকা নিয়েও আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন কোনো শর্ত ছাড়াই সব দেশের টিকা পাওয়া উচিত। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে।
রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে নতুন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, নতুন প্রস্তাব দেওয়া হবে না। প্রস্তাব আমাদের আগেই দেওয়া আছে। আর রোহিঙ্গা শব্দের সঙ্গে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তারা জানে রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি আমাদের অর্জন।
বর্তমানে মিয়ানমারে নতুন সরকার আসছে। নতুন সরকার পাবলিকলি বলেছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিগুলো সম্মান করবে। তবে নতুন সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। অধিবেশন যোগদান অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘ মহাসচিব, মালদ্বীপের প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে বাংলাতে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী গ্রুপের সঙ্গে পৃথক একটি বৈঠক করবেন। ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত আলোচনার বাইরে দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।