হাছান মিয়া,দিরাই উপজেলা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে গ্রামের জনগোষ্ঠির জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতার সংখ্যা ও পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কৃষিখাতে উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। এ বাজেট সার্বিকভাবে গ্রামীণবান্ধব।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে এমসিসিআই এবং পিআরআই আয়োজিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আমরা সারাবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছি। এবারের বাজেট যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য সরবরাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে। যুদ্ধের কারণে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা বৈশ্বিক সরবরাহ কাঠামো স্থিতিশীলতা হারিয়েছে। এমন সময়ে বাজেট দেওয়া কঠিন কাজ। আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে মানুষকে স্বস্তিতে রাখা যায়।
তিনি আরো বলেন, শস্য বা ধান উৎপাদন যা-ই বলুন, সার্বিক বিবেচনায় গ্রাম এখনো আমাদের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে। তাই গ্রামীণ অর্থনীতিকে কিভাবে চাঙ্গা রাখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে সেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরবরাহ শক্তিশালী করা ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। বাজার সম্পূর্ণভাবে মসৃণ রাখতে হবে। সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
এম এ মান্নান বলেন, কৃষি, শিল্প ও রেমিটেন্স-এই তিন খাতের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের কৃষি এখন উড্ডীয়ন অবস্থায় রয়েছে, তাই সরকার কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সার, বীজসহ অন্যান্য উপকরণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাহিদী সাত্তার, এমসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম, পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই পরিচালক আদিব এইচ খান, এমসিসিআই সাবেক সভাপতি আনিস উদ দৌলা, আইসিএবির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন প্রমুখ