ফলোআপ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি পাইকগাছায় বিকাশ প্রতারনা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি :-পাইকগাছায় বিকাশ মোবাইল ব্যাংক কিং এ প্রতারণা করে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ প্রতারক পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রতারনার স্বীকার পৌরসভা সরলের বাসিন্দা ঈগল পরিবহনের সুপারভাইজার মিল্টন শিকদার থানায় মামলা করেছেন,যার নং-১০। গত ৩০ মার্চ পৌরসভার আকবর স্টোর বিকাশের দোকান থেকে মিল্টন তার মেয়ে জোহরার কাছে ২৪ হাজার ৪শ ৯৩ টাকা পাঠায়। এ সময় ইউসুফ ঐ দোকান থেকে কৌশলে গ্রাহকের মোবাইল নং অন্য সহযোগি মোহাম্মদ আলীদের কাছে পাঠায়। এরা জোহরার কাছে মোবাইল করে বলেন,আপনার বিকাশ নম্বর ভুল আছে তা ঠিক করার জন্য দ্রুত পিন নম্বর চায়। জোহরাকে বিজি রেখে কথা বলতে-বলতে কৌশলে তার পিন নম্বর নিয়ে সব টাকা অন্য মোবাইল নম্বরে হ্যাক করে নেয়। যা গ্রেফতারকৃত ইউসুফ আলী (২২) আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে অনেক তথ্য দেবার কথা বলেছেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইমরান হোসেন। ধৃত ইউসুফ মাগুরার শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামের ইস্কেন্দার শেখের ছেলে। তাকে চলতি ৬ এপ্রিল উপজেলা খাদ্যগুদাম সংলগ্ন আকবর স্টোর বিকাশের দোকান থেকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সে বিভিন্ন এলাকার বিকাশ মোবাইল ব্যাক কিং এর দোকানে গিয়ে কৌশলে বিকাশের টাকা লেন-দেনের ছবি মোবাইলে তুলে প্রতারক চক্রের সদস্য মোহাম্মদ শেখ( ২৫),শোয়েব শেখ (২৫),ইমরান শেখ (২৮) সহ অন্যদের কাছে পাঠাতো। এদের বাড়ী মাগুরা শ্রীপুরের বরিশাট গ্রামে। আর প্রতারক চক্রের গডফাদাররা দোকান মালিক সেজে গ্রাহকের মোবাইল নস্বর ভুল আছে বলে ফোন দিত। অন্য প্রতারক সদস্য গ্রাহককে মোবাইলে ব্যস্ত রেখে কৌশলে তার পিন নং নিয়ে মুহুর্তেই সব টাকা অন্য মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দিত। এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত ইউসুফ সহ মোহাম্মদ আলী ও শোয়েব শেখকে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারনার সম্পর্কে বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেযেছেন। এ প্রতারক চক্রের সাথে এ এলাকার বা দেশের অন্যন্য অঞ্চলে কারা-কারা জড়িত তা প্রযুক্তির মাধ্যমে নাম-ঠিকানা পুলিশ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতারক এ চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারনা করে গ্রাহকের লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে থানায ডিজি ও অভিযোগও হয়েছে। ইতোমধ্যে এ চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।