শেখ খায়রুল ইসলাম পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি:-
পাইকগাছায় স্কুল ছাত্রী মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার পিতাকে মারপিট ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় থানায় এজাহার দাখিল হয়েছে। আহত পিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়, উপজেলার ভিলেজ পাইকগাছার নজরুল গাজীর ছেলে সাহেব আলী গাজী (২৪) ও তার সহযোগীরা একত্রিত হয়ে বেশ কিছু দিন যাবৎ উপজেলার লস্কর গ্রামের শের আলী সরদারের ছেলে মোতাহার হোসেন টুকু (৩৭) এর স্কুল পড়ুয়া জনৈকা মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথিমধ্যে নানা অশ্লীল কথ-বার্তা বলে উত্ত্যক্ত করে আসছে।বিষয়টি তার মেয়ে পিতা এস এম টুকুকে জানালে তারা আরো ক্ষিপ্ত ও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ঘটনার দিন গতকাল বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে লস্কর বাজারে যাওয়ার পথিমধ্যে জনৈক শ্রীকান্তের দোকান সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সাহেব আলী (২৪), একই এলাকার মৃত ইমান আলী গাজীর ছেলে রেজাউল গাজী (৪০),
আলমতলার আলাউদ্দীন জমাদ্দারের ছেলে মো: বাবু জমাদ্দার (৪৫), লস্করের শাহাজান খাঁর ছেলে মো: আজাদ খাঁ (২৫) ও মতলেব গাজীর ছেলে নাঈম ইসলাম (১৮) সহ অন্যান্যরা সমবেত হয়ে তার পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দা, শাবল, লাঠি-সোটা নিয়ে তার উপর আকষ্মিক হামলা শুরু করে।
একপর্যায়ে তারা তাকে ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় কোপ দিলে তিনি বাম হাত দিয়ে ঠেকান। এসময় তার হাতের হাড়সহ কেটে যায়। একপর্যায়ে তারা তার পকেটে থাকা বাজার করার আড়াইহাজার টাকা, গলায় থাকা স্বর্ণেও চেইন ছিনতাই করে নেয়। ঘটনায় তারা সেখানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।এ সময় তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তারা এনিয়ে কোথাও মামলা করলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।পাইকগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জিয়াউর রহমান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। ঘটনার তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।