নিজস্ব প্রতিবেদক//
বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে ফুটপাতে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে দোকানীদের গণপিটুনির শিকার হয়েছে, আ.মী লীগের কর্মীরা।
অভিযোগ উঠেছে, আক্তার হোসেন খোকা ও মুন্না শরীফের নেতৃত্বে, মামুন বগা রিপন, রিয়াজুল সহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শুক্রবার রাত আনুমানিক, ১০.৩০ ঘটিকার সময় নথুল্লাবাদ ফুটপাতে চাঁদার টাকা তোলার জন্য গেলে সাধারণ ব্যবসায়ীদের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হন।
গণধোলাইয়ের এক পর্যায়ে, মুন্না শরীফ পালিয়ে গেলেও আক্তার হোসেন খোকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা করে। এতে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা আক্তার হোসেন খোকাকে গণধোলাই দেয় এবং গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে দু’জন চাঁদাবাজ বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেওয়ায় চাপাতি দিয়ে আক্তার হোসেন খোকা এবং বগা রিপন ও মামুন দুই ব্যবসায়ীকে মারতে গেলে ফুটপাত দোকানিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আ`লীগের কর্মী আক্তার হোসেন খোকা ও তাদের সহযোগীদের গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশেকে কল দিলে পুলিশ এসে তদন্ত না করে আসামিদের না ধরে চলে যায়, পরে উৎসুক জনতা সেনাবাহিনীর হাতে তাদের তুলে দিতে চাইলে, মাহমুদ বিল্লা তার জিম্মায় চাঁদা বাজদের ছাড়িয়ে নেয় এতে হতাশ সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ উঠেছে, এর আগেও নথুল্লাবাদ হোসাইনিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মোঃ আলাল নামের এক ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে, পরে ঘটনা স্থানে সেনাবাহিনী এসে এদেরকে বেধড়ক মারধর করে এবং তখনও মাহমুদ বিল্লা তার জিম্মায় ছাড়িয়ে নেন।
এক নারী ভুক্তভোগী বলেন, চাঁদা চাইতে আসলে আমরা তাদের বাঁধা দেই। তাতে আক্তার হোসেন খোকা তার দোকানের জিনিসপত্র সব রাস্তায় খালের পানিতে ফেলে দেয়। পরে তার সহযোগী’রা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথম তাদের মারধর করে এবং পরবর্তীতে ২০/২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসে কিন্তু আমরা ভয়ে সরে যাই। আক্তার হোসেন খোকা ও তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। নিয়মিত অত্যাচার এবং চাঁদাবাজি করে তারা।
অভিযোগ উঠেছে, বিগত আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় থাকা কালীল অবস্থায় তারা প্রতিনিয়ত চাঁদা বাজি করে কামিয়েছে অবৈধ টাকার পাহাড়। আর সেই টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে দিনের পর দিন তাদের ঠেকানোর মত জেন কেউ নেই।
তারা আরো বলেন, মুন্না শরীফ বাবুল শরীফ আক্তার হোসেন খোকা ও তাদের সহযোগী’রা সরকার পতনের পরে কিছুদিন ছিলো আত্মগোপনে কিন্তু সম্প্রতি সময়ে আবারও নথুল্লাবাদ এলাকায় বহাল তবিয়তে তারা।
অভিযোগ উঠেছে, তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপনে বৈঠক সহ দেশের বিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে মুন্না শরীফ, আক্তার হোসেন খোকা, বগা রিপন সহ তাদের সহযোগী’রা।
এবিষয়ে এয়ারপোর্টে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাকির হোসেন বলেন, চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কয়েকজন গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে সুনেছি, কিন্তু কোন অভিযোগ পাইনি, যদি অভিযোগ পাই তাহলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে সাধারণ ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বিগত দিনে স্বৈরশাসক সরকারের আমলে তাদের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর বিভিন্ন সময়ে চাঁদা-বাজি করা সহ বিভিন্ন জোড় জুলুম করত কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনের তোদের মুখে পড়ে স্বৈরশাসক সরকার পালিয়ে গেলে তাদের নেতাকর্মী’রাও চলে যায় আত্মগোপনে কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে আ.মী লীগের নেতাকর্মীরা আবারও নথুল্লাবাদে চাঁদাবাজি শুরু করছে এতে আতঙ্কে ব্যবসা করছেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা।
Leave a Reply