ফেনীতে আলোচিত কিশোর অপরাধঃ তিশাকে গলা কেটে হত্যা
ফেনী প্রতিনিধি।এ কে বিপ্লব
ব্যক্তিগত পূর্ব আক্রোশের কারণে ফেনীর কালিদহে গলাকেটে কিশোরী তানিশা ইসলাম তিশা(১১)কে হত্যার দায় স্বীকার করে শুক্রবার বিকেলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে খুনি নিশান(১৭)।
এ ঘটনায় একই সকালে নিহত তিশার ভাই আশ্রাফুল ইসলাম হাসনাত বাদী হয়ে তার জেষ্ঠাতো ভাই নিশানকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রমতে, বৃহস্পতিবার ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের আলী ভুঞা বাড়ির সৌদি প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে তানিশা ইসলাম তিশাকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসায় দাদীর কাছে রেখে তার মা ও বোন পাশের বাড়ি যান। ঘন্টা দেড়েক পর তারা বাসায় তিশা না পেয়ে মা ছাদের দিকে খুঁজতে যান। সেখানে সিঁড়ি ঘরে তার মেয়ে তিশার গলাকাটা লাশ দেখেন।
ঐ দিন রাতেই নিশানের দেখানো মতে তিশাকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল তিশার বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একজোড়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে তিশার জেষ্ঠাতো ভাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিশানকে আটক করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফেনী সদর আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহাম্মেদ নিশানের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
তিশার পরিবারের উপর ব্যক্তিগত পূর্ব আক্রোশের কারণে সে তিশাকে হত্যা করছে বলে নিশান আদালতকে জানিয়েছে।
তিশার বয়স ১১ বছর। মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের আলী আহাম্মেদ ভূঁইয়া বাড়ির সৌদিপ্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে। বুধবার ছিল তার ১১তম জন্মদিন।
তিশার একমাত্র ভাই ২১ রমজানে এতেকাফে বাড়ির পাশে মসজিদে চলে যান। একমাত্র বড় বোনও শ্বশুর বাড়িতে। তিশার জন্মদিনে বড়বোন আসতে পারে নাই ।
ফোনে এনিয়ে বোনের সাথে ছিল ঝগড়া। এক পর্যায়ে ল্যাহেঙ্গার আবদার পূরণ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বড়বোন ল্যাহেঙ্গা নিয়ে বাড়ি হাজির হয়েছিলো। কিন্তু তিশার ল্যাহেঙ্গা পরা হলো না।