মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় জমিজমার দ্বন্দ্বে বিরোধে জীবন নাহার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে লাঠিপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৭ মে) বেলা সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জীবন নাহার ওই গ্রামের পলাশের স্ত্রী। তার মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী।নিহত জীবন নাহারের স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) রাজু আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, 'দীর্ঘদিন যাবত প্রতিবেশি মৃত ইজার আলীর ছেলে পুলিশ সদস্য আবেদুর রহমান মিষ্টারের সাথে বাড়ি সামনে দুই শতক জমি নিয়ে ১৫ বছরের বিরোধে মামলা চলছে। এ নিয়ে ঢাকায় পুলিশে কর্মরত মিষ্টার ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসলে সব সময়ই হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন। বুধবার সকালে ধানকাটার জন্য তিনজন শ্রমিকে নিয়ে আসি। তাদের সকালের খাবার দিয়ে আমার স্ত্রী বাড়িতে ফিরছিলেন। এই সময় মিষ্টারসহ তার দুই ভাই বিপ্লব, জহুরুল ও তার ছেলে কনক আমার ভাইয়ের স্ত্রীকে পথরোধ করে আমবাগানে নিয়ে গিয়ে বাঁশ দিয়ে মাথায় উপর্যপুরি আঘাতে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী পলাশ বলেন, 'কোন কারণ ছাড়াই মাত্র দুই শতক জমির জন্য আমার স্ত্রীকে ওরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি তাদের ফাঁসি চাই। পুলিশ সদস্য আবেদুর বরাবরই তার চাকুরিত প্রভাব কাঠিয়ে আমাদের হেনস্তা করে আসছিল। তবে এইভাবে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলবে ভাবিনি। জানলে তাদের আগেই সব দিয়ে দিতাম। এর সঠিক বিচার চাই খুনির ফাঁসি চাই।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিবুল ইসলাম রাজু বলেন, 'তিনি বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার মিমাংসা করেছেন। তারপরও এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা অপরাধ করেছে। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।'
এ বিষয় বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, 'পূর্ব শত্রুতা ও জমির বিরোধে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাথায় গুরুতর আঘাত থেকে গৃহবধূর মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবার এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ চারজনের নাম বলেছে। তাদের গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে তিনটি দল অভিযান শুরু করেছে।