বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টায় আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মারুফা ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই শিক্ষার্থী মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মারুফার চাচা কামরুজ্জামান।
তিনি জানান, দুপুরে ওই তার ভাতিজির শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। পরে একটার দিকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মারুফা উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় মাদ্রাসার আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকায় তিনজন ওই কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় স্বজনেরা।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ এ মামলায় সাইফুল ইসলাম (২৮) নামের এক জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাকি দুই আসামী রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) পলাতক রয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেছে। মরদেহ বগুড়ায় আনার পর ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার আছে। বাকি দুই জন পলাতক।