মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানের হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন নিহতের পরিবার সহ
এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বগুড়ার সদরের গোকুল বন্দরের (বগুড়া-রংপুর) মহাসড়কে নিহতের পরিবার ও সর্বস্তরের জনসাধারণ আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অংশ গ্রহণ করেন ।
মানববন্ধন থেকে আগামী ৪৮ঘন্টার মধ্যে জড়িৎ চিহ্নিত আসামিদের গ্রেফতার না করলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারী করেন।
মানববন্ধনে নিহত মিজানের মা মিনি বেওয়া বলেন আমার সন্তান কারো অন্যায় করেনি গত ৫ই আগস্টে সারাদেশে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায়, মহাস্থান, লাহিড়ীপাড়া,শাখারিয়া, গোকুল, চন্ডিহাড়া সহ অনেক জায়গায় লুটপাট হওয়া জিনিস পত্র নিজে উদ্ধার করে দিয়েছে। আজ আমার সুদিনে আমার ছেলে নেই যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
নিহত মিজানের স্ত্রী অভিযোগ করেন মিজানকে পরিকল্পিতভাবে বিপুল, ফাইনুর, মিলন, নাহিদ, মহিদুল সহ আরও বেশ কয়েকজন গোকুল আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন লেবার শ্রমিক অফিসে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম টুলু, সিদ্দিক মাস্টার, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌফিক, কৃষক দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, রতন, বিজয় সহ স্থানীয় জনসাধারণরা বলেন যারা তাকে এই ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি উর্ধাত আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়াও নিহত মিজানের মেয়ে সানজিদা আক্তার মায়া (১৪) তার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে পিতার খুনিদের বিচার দাবিতে ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আমার বাবাকে যারা রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছে তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
পরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী গোকুল বন্দরে বগুড়া -রংপুর মহাসড়কে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে মিছিল করেন।
নিহত মিজানুর রহমান মিজান বগুড়া সদর উপজেলা জাতীয়াবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক। ও গোকুল পলাশবাড়ী গ্রামের আফসার আলী সাকিদারের পুত্র।
উল্লেখ্য,পূর্ব শত্রুার জেরে গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত্রি সাড়ে ৮ টার দিকে মিজান গোকুল বন্দরে আন্তঃজেলা ট্রাক পরিবহন লেবার শ্রমিক অফিসে বসে তার কর্মীদের সাথে সংগঠন বিষয়ক আলাপ করছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ১০/১২ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অফিসে ঢুকে মিজানকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মিজান কে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।