বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা রায়নগর ইউনিয়ন গড় মহাস্থান গ্রামের মৃত সফর প্রাঃ এর ছেলে মকবুল প্রামাণিক নামের এক প্রান্তিক কৃষকের ৪৫ শতাংশ জমির ওপর রোপন করা আলু ও মিষ্টি লাউ গাছে ঘাস মারার কীটনাশক দিয়ে পুড়ে নষ্ট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কৃষকের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের গড় মহাস্থান গ্রামের (৬ ডিসেম্বর) বুধবার দিনগত রাতে ৭ টায় একই গ্রামের মৃত জোব্বার প্রাঃ এর ছেলে আনছার আলী প্রামানিক ঘাস মারার কীটনাশক স্প্রে মিশন দিয়ে আলুর জমিতে স্প্রে করে এ ঘটনা ঘটায়।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনার সাথে জড়িত আনছার আলীর বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানা অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মকবুল প্রামাণিক।
অভিযোগে সূত্রে ও শনিবার সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পুরো জমিতে রোপন করা আলু ও মিষ্টি লাউ গাছের মধ্যে বেশির ভাগই পুড়ে নষ্ট করে ফেলেছে প্রতিপক্ষ।কৃষক মকবুল প্রামাণিক কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আনছার আলী ও তার লোকজন গত কয়েকদিন ধরে আমাদেরকে বন্ধকীয় জমিতে চাষ না করার জন্য নিষেধ করেন। এমনকি নিষেধ অমান্য করে জমিতে চাষ করলে মারধর সহ অপূরণীয় ক্ষতি সাধণ করবে বলেও হুমকি প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় আনছার আলী আমার রোপন করা আলুর গাছে ঘাস মারার কীটনাশক দিয়ে স্প্রে মিশন দিয়ে আলুর জমিতে স্প্রে করে পুড়ে নষ্ট করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেন। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আনছার আলী বলেন, মকবুল প্রামাণিক রোপণ কৃত আলু ও মিষ্টি লাউ গাছ পুড়ে নষ্ট করার ঘটনায় কোন ভাবেই আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়নগর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়, অভিযুক্তরা পরস্পর আত্নীয়। তাই বিষয়টি বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। বৈঠকে ক্ষতি গ্রস্ত মকবুল প্রামাণিক কে কিছু অর্থ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আনছার আলীকে পরামর্শ দেওয়া হয় কিন্তু আনছার আলী তাতে অসম্মতি জানান।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, আলু ও মিষ্টি লাউ গাছে কীটনাশকে পুড়ে নষ্ট করে ফেলার অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply