বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
সেচ্ছায় করি রক্তদান, হাসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ’ স্লোগানে বগুড়া অনলাইন রক্তদান সংগঠনের ৭ম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার বগুড়া শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি উদযাপন করে সেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি। সংগঠনের উপদেষ্টা কাজী আবু সায়েমের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সোহেল রানার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ রিপু বলেন, আজকের তরুণ প্রজন্মের হাতেই নির্মাণ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। এদেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী আমাদের তরুণ প্রজন্ম যা আমাদের উন্নয়নের প্রধান শক্তি। সুদীর্ঘ সময় ধরে বগুড়া অনলাইন রক্তদান সংগঠনের একদল তরুণ সেচ্ছাসেবীরা যে মানবিক কাজ করে যাচ্ছে সাংসদ রিপু তার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে সকল ইতিবাচক কাজে সর্বদা পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এছাড়াও দ্রæততম সময়ে পরিবেশ রক্ষায় উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে শহরে ১ হাজার বৃক্ষরোপণের ঘোষণা দেন তিনি।
কাওছার হাবিব খোকনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু, ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজ, ডাঃ হুমায়ুন কবীর ইমরান, ওয়ার্ল্ড ভিউ বিল্ডার্স লি. এর চেয়ারম্যান লায়ন খায়রুল ইসলাম লাখিন, সাব্বির আহম্মেদ প্রমুখ। আলোচনা সভা পরবর্তী অনুষ্ঠানে ৩ শতাধিক সেচ্ছায় রক্তাদানকারী ব্যক্তিকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, সেচ্ছাসেবী সোহেল রানার হাত ধরে গত ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনে এখন পর্যন্ত সক্রিয় সেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন প্রায় ১১০ জন সেচ্ছাসেবী। শুধু তাই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানবতার বার্তা নিয়ে সংগঠনটি বিগত কয়েক বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে তাদের প্রয়োজনে রক্তের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা দিনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউজে ৪র্থ শ্রেণীর একটি পদে কাজ করে এবং রাতে অটোরিক্সা চালিয়ে এখন পর্যন্ত ধরে রেখেছেন সংগঠনটির ইতিবাচক অগ্রযাত্রা।
শুধু তাই নয় রক্তদানের জন্যে সেচ্ছাসেবী সোহেল বিনামূল্যে চালু রেখেছেন তার অটোরিক্সায় পরিবহন সেবা যা এযুগে এসেও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এছাড়াও পুরো রমজান মাসে সংগঠনটি প্রতিদিন সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন যা প্রশংসিত হয়েছে সকল স্থানে। সোহেল রানার মতো মানবিক অনেক সেচ্ছাসেবী বর্তমানে যুক্ত হয়েছে এই সংগঠনটিতে যার দরুণ তারা প্রত্যাশা করছে আগামীতে তাদের ইতিবাচক কাজের এই ধারা অব্যাহত থাকবে আরো গতিশীলভাবে।