বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় চটের বস্তা চুরির মামলায় দুই ব্যক্তির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আহম্মেদ শাহরিয়ার তারিক মঙ্গলবার (৮ মার্চ) এ আদেশ দেন।
এর আগে ২মার্চ সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের চাঁদমুহা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্ত দুইজন হলেন, সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের সরলপুর হাটপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাহাবুবুর রহমান সোহাগ (২৩) ও সরলপুর পাকুরতলা এলাকার মৃত আকবর আলীর ছেলে বাবু মিয়া (২৮)। তারা উভয়ে মাইক্রোবাস চালক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার চাঁদমুহা হাটে মেসার্স আনোয়ারা ট্রেডার্সে প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটার রেজাউল করিম ৭০ হাজার চটের বস্তা মজুদ রাখেন।
বর্তমানে আলুর মৌসুম চলায় তিনি গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ চটের বস্তা সংগ্রহ করতে যান। এ সময় রেজাউল করিম দেখতে পান ১৭ হাজার ৭৭৫ পিস চটের বস্তার কোন হদিস নেই। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ টাকা হিসেবে মোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫০ টাকা।
২ মার্চ রেজাউল তার প্রতিষ্ঠানের দুটি মাইক্রোবাসে চটের বস্তার কিছু আলামত দেখতে পান। এরপর দুইজন মাইক্রোবাস চালক মাহাবুবুর ও বাবুকে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা চটের বস্তা চুরির কথা স্বীকার করেন।
ঘটনাটি সদর থানা পুলিশকে জানানো হলে দুই মাইক্রোবাস চালককে গ্রেফতার করা হয় ও রেজাউল তাদের বিরুদ্ধে চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেফতাররের পর মাইক্রোবাস চালক মাহাবুব ও বাবু ঘোড়াধাপ বন্দরের মোঃ হায়দার ও একারমের কাছে চটের বস্তা আছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। সদর থানা পুলিশ ৫ মার্চ ঘোড়াধাপ বন্দরে অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রায় ১ হাজার চটের বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার (উপ-পরিদর্শক) এসআই বেদার উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগ অনুযায়ী এখনও কয়েক হাজার চটের বস্তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মূল অভিযুক্তরা কোথায় সেগুলো রেখে দিয়েছেন তা নিশ্চিত হতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।