বগুড়ার বারপুরে ধান ক্ষেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত
বগুড়া সদরের বারপুর এলাকা থেকে দুই দিন আগে নিখোঁজ মশিউর রহমান ওরফে সোনা মিয়া(৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া সদরের ১৭ নং ওয়ার্ডের বারপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার ঘোলাগাড়ী ঈদগাহ মাঠের রাস্তার কিছু দুরেই ধান ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সোনা মিয়া বারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন ওরফে নান্নু মিয়ার ছেলে। নিহত সোনা মিয়া পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর স্থানীয় মসজিদে তারাবীহ নামাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে মোবাইল ফোন রেখে সোনা মিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি মসজিদে গিয়ে ৮ রাকাত নামাজও আদায় করে কিন্তু রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার কোন সন্ধান না পেয়ে গতকাল শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরের পর সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বগুড়া সদর থানায় জিডি করেন।
পরে আজ শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় সোনা মিয়ার বাড়ির পিছনে ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ধান ক্ষেত থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন সোনা মিয়ার মরদেহের সন্ধান পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত জানা যায়নি কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত এর পর জানা যাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্তের কাজ চলছে।
পুলিশ সুপার এর নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধূরী, সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা, ডিবির ওসি আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। এমন নৃশংস হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, নিহত সোনা মিয়ার পিতা মরহুম নান্নু মিয়া ২০১৭ সালে তারই আপন পুত্র তোতা মিয়ার হাতে নিহত হোন। এই ঘটনার পর বড় পুত্র সোনা মিয়া বাদী হয়ে আপন ছোট ভাই তোতা মিয়াকে বিবাদী করে পিতা হত্যার মামলা দায়ের করেন। এরপর তোতা মিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে আসে। মামলাটি বর্তমানেও চলমান আছে। এই ঘটনায় পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার ৩ ছোট ভাই যথাক্রমে তোতা মিয়া, তারা মিয়া ও মান্নু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছিলো।
Leave a Reply