মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাকে শহরের উপশহর এলাকাট বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ৩জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- শহরের আলিফ ক্লিনিকের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক বিপ্লব, শহরের জুবলি হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক হারুনার রশিদ ও শহরের নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী নাজমুস সাকিব।
ডা. কাজল জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূলে যান কয়েকজন লোক। তারা সেখানে ডা. কাজলের পৈত্রিক জায়গায় নির্মিত দোকানে গিয়ে ওইসব দোকান নিজেদের বলে দাবি করে এবং দোকানের ভাড়া ডাক্তার বা তার পরিবারকে দিতে নিষেধ করে। দোকানীরা বিষয়টি ডা. কাজলকে জানালে তিনি ওই লোকদের পরিচয় জানতে চান। তখন একজনের সাথে মোবাইল ফোনে তাকে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। ওই ব্যক্তি তখন মোবাইলে নিজেকে পুলিশের পরিদর্শক মনির পরিচয় দিয়ে ডা. কাজলের বাসার ঠিকানা জেনে নেন। তারা ডাক্তারের বাসায় গিয়ে কথা বলতে চান। বিকেলে তাদের বাসায় আসতে বললে ৫টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৬জন তার বাসার সামনে আসেন। তাদের একজনের মোটরসাইকেলে পুলিশ লেখা ছিলো। ডাক্তারকে তারা বাসা থেকে ডেকে বের করে গ্রামের ওই জমিটি তাদের বলে দাবি করেন। তিনি লোকগুলোর পরিচয় জানতে চাইলে বিতন্ডা শুরু হয়। এসময় ডা. কাজল তার মেবাইল ফোনে ছবি ধারণ করতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ডাক্তার কাজলকে মারপিট করেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি ২টি মোটরসাইকেলসহ হামলাকারিদের মধ্যে ৩জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ডা. কাজল এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।