মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
বগুড়ায় ৭ বছর পর খুন হওয়া যুবকের আকষ্মিক আগমন। এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁকে হত্যা মামলায় সাড়ে ৪ মাস জেল খেটেছেন আজিজার রহমান (৩০) নামে এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয় ৭ বছর ধরে আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে হয়রানি হয়ে আসছেন আজিজার।
সবাই জানতো ৭ বছর আগে খুন হয়েছে শামীম (২৬)। যার খুনের দায়ে মামলায় জড়ানো হয়েছে আজিজার রহমানকে। হঠাৎ তার সাইকেল চালিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা দেখে প্রথমে আতঁকে ওঠেন এলাকাবাসী।
জানা যায়,টানা ৭ বছর পর বগুড়ার সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় সোমবার (৯ই আগস্ট) সকালে দেখা মেলে খুন হওয়া শামীমের সাথে। তাও আবার জীবিত। আর এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের দশ গ্রামের উৎসুক জনতা তাঁকে এক নজর দেখতে ভিড় জমান। কথিত খুন হওয়া শামীম বগুড়া সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, শামীম উপজেলার শাখারিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম শাহিন উদ্দিন। এই মামলায় জড়িত ভিকটিম আসামী আজিজার রহমান একই এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পিতার নাম মৃত ধলু প্রামাণিক। আজিজার রহমান সে পেশায় শহরের একটি মুদির দোকানের কর্মচারী।
এ বিষয়ে আজিজার রহমান বলেন, শামীম ১ লাখ টাকা ধার নিয়ে ছিলেন। এই পাওনা টাকার জন্য ৭বছর আগে চাপ দিয়ে ছিলাম শামীমকে। টাকা না দিয়ে শামীম কৌশলে গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যায়। লোক মুখে শুনলাম শামীম বেঁচে আছে। এবং তাঁর পরিবারে নিয়মিত যোগাযোগ করে। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি হত্যা মামলা করেন শামীমের মা ঝর্ণা বেগম।
শামীম হত্যা মামলাাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় সাড়ে ৪ মাস জেল খেটেছেন আজিজার। এখনো নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন।
যেভাবে ধরা খেল শামীমঃ
সোমবার সকালে মানিকচক এলাকায় শামীম বাইসাইকেল চালিয়ে ঘোরফেরা করেন। এরপর আজিজারের ছোটভাই তাকে আটক করে। পরে থানা পুলিশ কে জানানো হলে পুলিশ এসে শামীমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, শামীম থানা হেফাজতে রয়েছে। তিনি প্রায় ৫ বছর আগে আদালতে এসে হাজিরা দিয়েছেন বলে স্বীকার করছেন। হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সবকিছু খোলাসা করতে জিজ্ঞাসা চলছে।