মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
বগুড়া জেলা ধুনট উপজেলায় ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন মরিচতলা গ্রামে সমাজপতিদের বিরুদ্ধে ঈদুল আজহার কোরবানির মাংস না পাওয়ার অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এলাকাবাসি ক্ষুব্ধ হয়ে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করেছেন।
এই সময় মনববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা বলেন, আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে ১শ ৬৫ টি পরিবার নিয়ে একটি সমাজ গঠন করি এবং ওই সময় এর সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক এর আনুমতি ক্রমে ৩২ টি পরিবার নিজেরাই ওই গঠিত সমাজ থেকে অব্যাহতি নিয়ে তারা নিজেরাই একটি নতুন সমাজ গঠন করে। এবং এই ৩২ টি পরিবার একত্র হইয়া বেশকিছু দিন সমাজ পরিচালনা করেন। এবং ওই ৩২ টি পরিবারের মাঝে প্রতি বছরে ৩ তিন জন, ৫ জন, ৪ জন, করে ঝগড়া বিবাদ করে অন্য সমাজে চলে যান। এভাবে চলে যেতে যেতে বর্তমান তাদের সমাজের সদস্য সংখ্যা রয়েছে মাএ ৮/ ৯ টি পরিবার।
এমতেঅবস্থায়, গত ২১/০৭/২০২১ তারিখে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছোট বড় প্রত্যেক সমাজের মানুষ কোরবানীর মাংস ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়,এবং ওই নয় পরিবার বিশিষ্ট সমাজ এর কতিপয় কিছু ব্যক্তিগন ১/ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ২/মোঃ আলম উভয় পিতা- মোঃ আজাহার আলী ৩/ মোছাঃবেইলা বেগম স্বামী-আঃজলিল, ৪/মোঃ ফটিক সরকার পিতা- মৃত আজিমউদ্দিন সরকার, মিলে অসৎ উদ্দেশ্যে আমাদের মানসম্মান হানী করার জন্য সংবাদ কর্মিদের মাধ্যমে ১২৩ ঘরে বিশিষ্ট সমাজের সভাপতি মোঃ আঃ সাওার সরকার সাধারণ সম্পাদক হাফিজার রহমান সরকার, ও সদস্য মোঃ মাসুদ সরকার সহ আরেো অনেক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পএিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন।
বিধায় এর বিরুদ্ধে এলাকাবসী সবাই মিলে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। এবং মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
সেই সাথে এই ৯ টি পরিবারের মাঝে থাকা গোটা কয়েক মাদক সেবী চোর গাঁজা সেবনকারী ও পরলোভী কতিপয় ব্যক্তির কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবী জানান তারা।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর পহ্মে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তরুন সমাজ সেবক মোঃ মাসুদ সরকার, তিনি বলেন, ঈদুল আজহায় প্রত্যেক মুসলিম মানুষের জীবনে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য দিন। ।এই দিনে আমরা সবাই একে অপরকে সহানুভূতি দেখিয়ে আন্তরিক ভাবে কুলাকুলি করে থাকি।কিন্তু আমাদের সমাজ ভাগ হয়েছে এবং সমাজ চু্্যত করা হয়েছে বলে কতিপয় ব্যক্তি আমাদের উপরে যে বিদ্বেষ পোষন করেছে এবং মিথ্যে দোষ দিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
পক্ষান্তরে মরিচতলা গ্রামে পাঁচ টি সমাজ বিদ্যাবান রয়েছে।এই সমাজের একেক জন একেক সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। সেরকম এই যে, ৮ থেকে ৯ টি পরিবার যারা দাবী করে আসছেন তারা এখন ও কোনো কোরবানির মাংস পায়নি এবং তাদের সমাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কথাটি সম্পর্ন মিথ্যা,ও বানোয়াট।
তাদের সমাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বরং তারা প্রায় সাত বছর পূর্বে সমাজের লোকজন কে গালাগালি করে ও বিভিন্ন রকম হুমকি-ধামকি প্রদান করে খসাল সরকার ও জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে স্বেচ্ছায় নতুন সমাজ গঠন করে চলে যান
কয়েক বছর পর তাদের সমাজের ভেতর ঝগড়াঝাঁটি তাদের সুবিধার জন্য একেকজন একেক সমাজে চলে গেছে।তারা একেক জন একেক সমাজে গিয়ে আমাদেরকে দোষারোপ করছে যা সত্য নয়, আরেকটি সত্য হলো তারা সাংবাদিকদের বলছে যে তারা কোরবানির মাংস পায়নি কিন্তু তাদের নতুন গঠিত সমাজে ও কুরবানী হয়েছিল। এবং তারা মাংস ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছে। প্রমাণ স্বরূপ যে যারা কুরবানী দিয়েছে আপনারা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন আশা করি সত্য টা পেয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, তাদের সমাজে কোরবানি দিয়েছে ও যে মহিলা আপনাদের কাছে পূর্বের ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে বর্ণনা দিয়েছে যে তারা মাংস পান নাই। কিন্তু তারা যে মাংস পেয়েছেন শেষ স্বীকারোক্তি মূল্যক জবানবন্দি আমাদের অডিও টেপে ধরা আছে।তারা যে মাংস পেয়েছে এটাই তার প্রমান সুতরাং সবকিছু মিলে আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে এটাই বলতে চাই যে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমরা সমাজের যারা শিক্ষিত মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ মান-সম্মান নিয়ে বসবাস করে আসিতেছি তারা আমাদের মান-সম্মানের আঘাত এনেছে, এবং তারা আমাদের মান-সম্মান হানি করার উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে, আমরা এই সম্মান হানি করা সংবাদ এবং যারা এই কাজ করিয়েছে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ঘ্রিনা এবং খোভ প্রকাশ করছি। এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করছি। ,আর কখনো এ ধরনের কাজ থেকে বিরত না থাকলে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবো।