বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া শহরে চার তলা বাড়ির বেলকুনি থেকে পড়ে রেহেনা বেওয়া (৬০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে বাদুড়তলা তিব্বতের মোড় এলাকায় মর্মান্তিক ওই ঘটনা ঘটে। নিহত রেহেনা বেওয়া গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী, স্বজন ও পুলিশ জানায়, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য রায়হান তার মা, স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের নিয়ে তিব্বতের মোড় এলাকায় মরহুম আব্দুল আজিজের বাড়ির ৪ তলায় ভাড়া থাকেন। রেহেনা বেওয়া স্ট্রোকের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি চোখেও কম দেখতেন। লাঠির ওপর ভর দিয়ে হাঁটা-চলা করতে হতো তাকে।
বাড়ির অন্য সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রেহেনা বেওয়া শনিবার বিকেলের দিকে লাঠি খুঁজতে বেলকুনিতে আসেন এবং কম উচ্চতার গ্রীলের রেলিং উপর দিয়ে পড়ে যান। খবর পেয়ে নাতি মিনহাজ আহম্মেদ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রেহেনা বেওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিনহাজ আহম্মেদ জানান, শনিবার দুপুরে তার মা ও বোন এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়া খেতে যান। ভাড়া ওই বাড়িতে তিনি এবং তার দাদি অবস্থান করছিলেন। বিকেলে ৫টার কিছু আগে তিনি নাস্তা কেনার জন্য বাড়ির বাইরে যান। এ সময় প্রতিবেশিরা ৪ তলা থেকে তার দাদির পড়ে যাওয়ার খবর দেন।
ওই বাড়ির মালিক মরহুম আব্দুল আজিজের স্ত্রী রেজিনা ফেরদৌস জানান, নিহত রেহেনার ছেলে পুলিশ সদস্য রায়হান প্রায় ৩ বছর আগে তাদের বাড়ি ভাড়া নেন।
বগুড়ার সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর শিশির চক্রবর্তী জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা জানতে পারেন এটি একট দূর্ঘটনা। তিনি বলেন, ‘৪ তলা ওই বাড়ির বেলকুনিতে গ্রীলের প্রতিবন্ধক থাকলেও সেটির উচ্চতা খুব কম। যে কারণে অসুস্থ রেহেনা বেওয়া লাঠি খুঁজতে গিয়ে পড়ে যান। যেহেতু রেহেনা বেওয়ার মৃত্যু নিয়ে কারও কোন অভিযোগ নেই সে কারণে তাঁর লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।