বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বজ্রকণ্ঠে রচিত ১৮ মিনিটের এক মহাকাব্য উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালিদের মুক্তির এ মহামন্ত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত, অনুপ্রেরণার।
সোমবার বেলা ১১ টায়, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে মোংলা উপজেলা ও পৌর আ'লীগের আয়োজনে মোংলা আ'লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। আয়োজিত আলোচনা সভায় পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ'র সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের সঞ্চলনায় ও উপজেলা আ'লীগের সভাপতি বাবু সুনিল কুমার বিশ্বাস'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন,
পৌর আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামরুজ্জামান জসিম, প্রমূখ। এ সময় উপজেলা ও পৌর আ'লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে ৭ই মার্চ এক অবিস্মরণীয় দিন। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এ দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে রচনা করেছিলেন ১৮ মিনিটের এক মহাকাব্য। ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি আমাদের ‘স্বাধীনতা’ নামের এক অমরবাণী শোনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান। শুধু তাই নয়, তিনি বীর বাঙালিদের অবশ্যম্ভাবী বিজয়কে উৎকীর্ণ করেন ভাষণের শেষ দু’টি শব্দে-‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। রাজনীতির কালজয়ী কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন, ক্ষমতাকে কি করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সবার কল্যাণে ব্যবহার করতে হয়, তাও বুঝিয়ে দেন, শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকার ব্যবস্থা এবং অর্থনীতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই মর্মস্পর্শী বজ্রনিনাদ সাত কোটি বাঙালির হৃদয়কে বিদ্যুৎ গতিতে আবিষ্ট করেছিল।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা ও পৌর আ'লীগের সহোযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগষ্ট সকল নিহত দের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতে দোয়া মোনাজাত অনুষ্টিত হয়।