মোংলা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনে একসাথে একশত কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র সংলগ্ন খালে প্রথমেই ৮টি কুমির অবমুক্ত করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী, খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বনবিভাগের পক্ষ থেকে পুরো সুন্দরবনে একশত লবণ পানির প্রজাতির কুমির অবমুক্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই উদ্যোগের প্রেক্ষিতে বুধবার করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের খালে ৮ কুমির অবমুক্তের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ৪টি রেঞ্জের বিভিন্ন চালায় মোট ১শ টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০টি, খুলনা রেঞ্জে ২০টি, পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে ২০টি ও চাঁদপাই রেঞ্জে ২৪টি কুমির অবমুক্ত করা হয়। চাঁদপাই রেঞ্জে ২৪টির মধ্যে করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের খালে ৮টি, জোংড়া এলাকায় ৬টি, নন্দবালা এলাকায় ৫টি ও হাড়বাড়িয়ায় ৫টি অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ।
দেশের বিলুপ্ত প্রায় লবণ পানির প্রজাতির কুমিরের বংশ বৃদ্ধি, প্রজজন ও সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ২০০০ সালে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে কুমির প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলে বনবিভাগ। সে সময় রোমিও ও জুলিয়েট নামক দুইটি কুমির দিয়ে এ প্রজনন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে এ কেন্দ্রের শতাধিক কুমির সুন্দরবনের নদী ও খালে অবমুক্ত করা হয়। তাছাড়াও সর্বশেষ বুধবার একসাথে আরো একশত কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রটিতে এখনও ছোট-বড় মিলিয়ে ৯৪টি কুমির রয়েছে।
Leave a Reply