বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে কেউ ভাগ করার চেস্টা করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলি ইজারদার। মোংলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিন অনুষ্ঠানের সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তিতায় তিনি আরো বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দীর্ঘ যাত্রায় পার করেছেন নানা চড়াই-উতরাই। কারাভোগ করেছেন, একাধিকবার গৃহবন্দী ছিলেন। চারবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। প্রায় চার দশক ধরে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আজ তার ৭৫' তম জন্মদিন। ‘মরতে একদিন হবেই এতে ভয় পাই না’ - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি প্রমাণ করেছেন বারবার। ১৯ বারের বেশি হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তারপরও তাকে বিচ্যুত করা যায়নি সংকল্প থেকে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় মোংলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে উপজেল ও পৌর আ'লীগের উদ্দোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনার ৭৫ তম জন্ম দিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এব কথা বলেন।
এ সসময় বক্তারা বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে যখন একটি অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিয়েছেন। যখন কোন আইনের শাসন ছিল না সেই দুর্বিসহ সময়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরেন আলোর দিশারী হয়ে। ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরলেন সেদিন নির্বাসন থেকে বাংলাদেশ অস্তিত্বে ফিরলো। ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন সাময়িকী টাইম পত্রিকায় বাংলাদেশের ওপর একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুর একটি আবক্ষ ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ডান পাশে লেখা ছিল বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সমার্থক। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছিলাম। কারণ ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। আমরা শেখ হাসিনার জন্মদিন পালন করছি এ জন্যই যে, তাঁর কাছে আমাদের অশেষ দায়, অশেষ ঋণ। বক্তরা বলেন, শেখ হাসিনার শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তাঁর সম্মোহনী শক্তি, তিনি সাহসী। শেখ হাসিনা সাহসী না হলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। তিনি সাহসী না হলে পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে তৈরি হতো না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহসী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানাই। এ সময় আয়োজিত
আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে, ওন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আ'লীগের দপ্তর সম্পাদক অম্বরেশ রায়, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আ: রহমান, উপজেলা আ'লীগের সংগঠনিক সম্পাদক উৎপল কুমার মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কবির উদ্দিন, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম, বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত বুড়িরডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় সংকর বিশ্বাস, পৌর যুবলীগের সভাপতি এস,এম,কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আল-মামুন সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।