বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
এসএমএ কামাল পারভেজ
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
যমুনার উপরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু ডুয়েল গেজ রেলসেতুর নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রবিবার (২৯নভেম্বর'২০ইং) সকালে গণভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যমুনা নদীর ৩০০ ফিট উজানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর শুভ উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মহেন্দ্রক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন,এই সেতু নির্মাণ হলে রেল যোগাযোগে নুতন দিগন্তের সূচনার পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির সাথে আঞ্চলিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাননীয় রেলমন্ত্রী এ্যাডঃ নূরুল ইসলাম সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে স্থানীয় সাংসদ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারসাম্যপূর্ণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার গৃহীত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেডিকেটেড ডাবল লেনের এই রেলসেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে একসঙ্গে দু'টি ট্রেন ঘন্টায় ১০০ কিঃমিঃ বেগে সেতুটি অতিক্রম করতে পারবে এবং বিভিন্ন রুটের ৮৮ টি ট্রেন পারাপারের সুবিধা পাবে।
মাননীয় মন্ত্রী আরো জানান, জাপানের অর্থায়নে জাইকা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এবং টেন্ডারসহ সমস্ত প্রক্রিয়া হয়েছে। ৪.৮ কিঃমিঃ দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজের এই রেলসেতুটি নির্মাণের প্রাক্কলন ব্যয়ের ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকার অনুমোদিত প্রকল্পে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা- জাইকা থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে এবং বাকি ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে কাজ শুরু হবে এবং ২০২৪ সালের আগোষ্টের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ডঃ ফারুক আহম্মদ জানান, ডাবল ডুয়েল গেজ সেতুটি হওয়ার পর ক্রসিং ছাড়াই দু'টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো দ্রুত পারাপার হয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবের পাশাপাশি গোটা উত্তরবঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
উল্লেখ্য,২০১৪ সালের ২৫ থেকে ২৮ মে জাপান সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য জাপান কে অনুরোধ জানিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।