মোংলা প্রতিনিধি
প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যদিয়ে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের দুবলার চরে মেঘলা গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে এমন আবহাওয়ার মধ্যেও সাগরে মাছ শিকারে মগ্ন রয়েছেন জেলেরা। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার বলেন, এখানকার আকাশ কিছুটা মেঘলা রয়েছে, তবে সাগর খুব বেশি উত্তাল না থাকায় জেলেরা স্বাভাবিকভাবে মাছ ধরছেন।
এদিকে প্রচন্ড তাপদাহে মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদে কাজ করতে বিপাকে পড়েছেন নিতান্ত খেটে খাওয়া দিনমজুরেরা। গরমে হাসফাস করছেন শিশু-বৃদ্ধরা। উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক অমৃত রায় বলেন, গরমে ঘরে টেকা যাচ্ছেনা, বাহিরেও গরম। গরম আগেও পড়েছে কিন্তু এবারের এতো বেশি গরম পড়েনি। বৃষ্টি না হওয়ায় গরম বেশি, কি করবো গরম সহ্য করা ছাড়া তো কোন উপায় নেই। গরমে মাঠে ধানের বীজও ফেলতে পারছিনা, ফেললেও তা হবেনা রোদে পুড়ে যাবে।
সিগনাল টাওয়ার এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, গরমে বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কাজ কর্মও কম। গরমে ঠিকমত কাজ করা যায়না। তাই কেউ কাজ দিতে কিংবা করাতে চায়না। কুব কষ্টে আছি গরমে। মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, প্রচন্ড তাপদাহ চলছে, গত ২৪ ঘন্টায় মোংলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মোংলায় বিরাজ করছে। তাপদাহে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। সেটি উৎপত্তিস্থলে ঘনীভূত হচ্ছে। এর ফলে মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এতে উপকূলে তাপদাহের পাশাপাশি গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি।