বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং শেষ হলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে - হাবিবুন নাহার
বাহেরহাট প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে মোংলার কানাইনগর থেকে চিলা পর্যন্ত বেড়িবাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে নদী কুলের প্রায় দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার এলাকার বাসিন্ধারা পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে ওই সব এলাকাসহ উপজেলার চিলা, চাদপাই ও বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬৮৫ টি মৎস্যঘেরের ৩শ হেক্টর ভূমির মাছ। বৃহস্পতিবার ও জোয়ারে পানি প্রবেশ করেছে নদী কুলের বাসিন্দাদের বাড়ী ঘর ও মৎস্য ঘেরে। উপজেলা মৎস্য বিভাগের হিসাব মতে তলিয়ে যাওয়া ওইসব মৎস্য চাষীদের প্রায় বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর ৫১০টি কাচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার। বৃহস্পতিবার(২৭ মে) ওইসব ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন, স্থানীয় সাংসদ পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার,পানি উন্নোয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বসু। পরিদর্শন শেষে পানি উন্নোয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, নতুন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য জরিপ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। এর পর প্রকল্প অনুমোদনসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ পেলে তবেই শুরু করা হবে টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদেরব এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওই ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর রুপ পরিবর্তন হতে পারে। তাই ড্রেজিং কাজ শেষ না হলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা যাবেনা। এদিকে জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।